নিউজ ডেস্ক , ১৭ অক্টোবর : আখ প্রায় অনেকেরই বেশ পছন্দের একটি ফল। তবে এই ফলটির খোসা ছাড়ানো একটু কষ্টকর বলে অনেকেই আখের রসটাই পান করতে বেশি পছন্দ করেন। তীব্র গরমের সময়ে আখের রস পান করলে তা শুধু শীতলতাই দান করেনা বরং শক্তিও সঞ্চার করে। আখে রয়েছে পারে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম,আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক, পটাশিয়াম এবং আরও নানান উপাদান যা শরীরের জন্যে অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও আখের রসের নানান গুনগান রয়েছে –
হজম ক্ষমতা বাড়ায় : আখের রসে থাকা পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর হজমে সহায়ক একাধিক পাচক রসের ক্ষরণ বাড়ায়, যার ফলে হজম ক্ষমতার উন্নতি হয়।
দাঁতের সমস্যা দুর করে : মানব শরীরে দাঁত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্গান। দাঁত ভালো রাখতে আখের রস খুবই উপকারী। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান দাঁত ক্ষয় এর হাত থেকে বাঁচায় এবং দুর্গন্ধ যুক্ত নিঃশ্বাস এর বিরুদ্ধে কাজ করে। পাশাপাশি বাড়ন্ত শিশুরা আখ চিবিয়ে রস পান করলে তাদের দাঁতের সমস্যা অনেকটাই লাঘব হয়।
কিডনি ভালো রাখে : নিয়মিত আখের রস পান করলে মূত্রনালির ইনফেকশন দূর হয়। এতে আছে প্রাকৃতিক অ্যালকালাইন যা এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। শরীরের প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে কিডনি সুস্থ রাখে।
গর্ভাবস্থায় উপকারী : গর্ভবতী নারীদের পুষ্টির অভাব পূরণ করতে খাদ্য তালিকায় অাবশ্যক আখের রস। এই রস সেবন গর্ভধারণের সাহায্য এবং নিরাপদ গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করে।
ক্লান্তি দূর করে : আখের মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান শরীরের ক্লান্তি দুর করতে সহায়তা করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করে : আয়ুর্বেদ মতে আখের রসে থাকা ল্যাক্সেটিভ প্রপাটিজ বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা নিরাময়ে সহায়তা করে। আখে থাকা অ্যালকেলাইন প্রপাটিজ গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ব্রণের সমস্যা দুর করে : আখের রসে থাকে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড যা স্কিন সেলের উৎপাদন বাড়ায়ে ব্রণের প্রকাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ব্রণের দাগ কমাতেও সাহায্য করে থাকে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো আখের রস নিয়ে মুলতানি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে সেই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ভেজা তোয়ালের সাহায্যে ভাল করে মুখটা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
ত্বকের বয়েস কমাতে সাহায্য করে : নিয়মিত আখের রস খেলে দেহের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্লেবোনয়েডের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এই দুটি উপাদান ত্বক এবং শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে শরীরের পাশাপাশি ত্বকের বয়স বাড়ার আশঙ্কা অনেকটাই হ্রাস পায়।