নিউজ ডেস্ক , ৮ মে : তৃতীয় বারের জন্যে ধ্বনিভোটে বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তাঁকে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করেন বিধায়করা।
শনিবার ছিল অধ্যক্ষ নির্বাচন। এর আগে বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আগামী সোমবার হবে মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। এই নিয়ে তৃতীয় বার অধ্যক্ষের আসনে আসীন হলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার আসনে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিধানসভায় উপস্থিত সকল বিধায়কদের ধন্যবাদ জানান তিনি। রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা বন্ধ না হওয়ায় অধ্যক্ষ নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন বিজেপির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। তাই কার্যত বিরোধী শূন্য বিধানসভায় বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম অধ্যক্ষ হিসাবে পাশ হয়ে যায়। ১৭ তম বিধানসভায় তাঁকে তৃতীয়বারের জন্য তাঁকে ফের অধ্যক্ষ নির্বাচিত করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ার পর বক্তব্য রাখাতে উঠে তিনি বলেন, এই বিধানসভায় সব গোষ্ঠী সব শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধি রয়েছেন। তাই সভা বয়কট করা উছিত নয়। বিজেপি প্রতিনিধিদের উদ্দেশে অধ্যক্ষ বলেন, বর্ণময় এই বিধানসভায় সবার অংশ নেওয়া উচিত। অনেক কমিটি তৈরি হবে তাতে বিরোধীদেরও অংশ নিতে হবে। এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় রিগিং করেছে বিজেপি। বাংলার মানুষ প্রমাণ করেছে বাংলার মানুষ মাথা নত করে না। মানুষের জয় ওরা মেনে নিতে পারছে না। সেই কারণেই এইরকম করেছে। ২৪ ঘণ্টা শপথ নেয়নি একটা সরকার, ওরা লোক পাঠিয়ে দিয়েছে। বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। এরপর করোনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে টাকা বিজেপি নির্বাচনে খরচ করেছে সে টাকা অতিমারীতে কাজে লাগানো যেত। রাজ্যের অক্সিজেন অন্যত্র ছাড়াচ্ছে। চিঠি দিয়ে ভ্যাকসিন চেয়েছি। কাজ হয়নি। গত ছমাস কেন্দ্রের লোক বাংলায় এসে পড়েছিল।” শনিবার মূলত অধ্যক্ষ নির্বাচনের জন্যই এই অধিবেশন ডাকা হয়।এরপরই অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে যাবে অধিবেশন। জুনের শেষে বা জুলাইয়ের শেষে ফের বসবে বিধানসভা।