চাঁচল ,৯ সেপ্টেম্বর : একশো দিনের কাজে প্রকৃত শ্রমিকদের পরিবর্তে ভুয়ো একাউন্ট করে মজুরী প্রদানের অভিযোগ উঠলো পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক ও সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো জবকার্ডধারী প্রকৃত শ্রমিকরা।
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল-১ নং ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গিয়েছে একশ দিনের কাজ প্রকল্পে আশ্বিনপুর এলাকার জবকার্ডধারীদের কাজ করার চারমাস কেটে গেলেও মেলেনি মজুরী। বকেয়া মজুরী চাইতে গেলে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ এনেছে সুপারভাইজার শেখ মিনাল হোসেন ও পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক মীর মহসিনের বিরুদ্ধে।এমনকী ভুয়ো শ্রমিকদের একাউন্টে সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন বঞ্চিত শ্রমিকেরা। এই ঘটনায় হাফিজুদ্দিন নামে এক শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পে চার সপ্তাহ কাজ করার পরেও প্রাপ্য মজুরী মেলেনি। কাজের সুপারভাইজার শেখ মিনাল হোসেনকে টাকার কথা বলতে গেলে তিনি টাকা দাবী করেন। অন্যদিকে অভিযোগকারী শ্রমিক লুসি বিবি জানিয়েছেন, ছ’সপ্তাহের মাটি কাটা কাজ করেও প্রায় প্রাপ্য টাকা পায়নি।অথচ গ্রামের কতিপয় মানুষ কাজ না করেই টাকা পেয়ে যাচ্ছে।আর বাকী টাকা ভূয়ো একাউন্ট খুলে পঞ্চায়েতের সুপারভাইজার শেখ মিনাল ও নির্মাণ সহায়ক মীর মহসিন ভাগ করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ এনেছেন তিনি।এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার চাঁচল-১ নং ব্লক অফিসে অভিযোগ জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক মীর মহসিন ও সুপারভাইজার শেখ মিনাল হোসেন।রাজনৈতিক মদতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।যদিও ১০০ দিনের কাজ, তার মজুরী প্রদান নিয়মমাফিক করা হয় বলে দাবি করেছেন মকদুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহদেবচন্দ্র মন্ডল।কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর তা দেখেই বিল দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন সহদেববাবু।অপরদিকে চাঁচলের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজে শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরী না মেলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনমাফিক পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন সমীরণবাবু।