অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা ঘিরে বিপাকে পড়েছেন কেন্দ্রের কর্মী, সহায়িকা থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের ১৩ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলঘানি মোড় এলাকা।
বাস ও বাইকের সংঘর্ষে মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা, ভাঙচুর পুলিশের বাইক
মূলতঃ এলাকার শিশু এবং প্রসূতি মায়েদের সুবিধার্থে সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এই কেন্দ্রগুলিতে শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি শিশু ও প্রসূতিদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। তেলঘানি মোড় এলাকার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি একেবারে বেহাল হয়ে পড়েছে। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিজস্ব কোন ঘর নেই। প্রতিবেশী এক হৃদয়বান পরিবারের সহযোগিতায় কোনরকমে চলছে এই কেন্দ্রটি।
শহরের বুকে অ্যাসিড হামলায় আহত যুবক, গ্রেফতার ১
ওই প্রতিবেশী পরিবার নিজেদের রান্নাঘরটি ছেড়ে দিয়েছে শিশু ও প্রসূতিদের খাবার রান্না করার জন্য। সেইখানেই চলছে রান্নাবান্না। নিজস্ব কোন ঘর না থাকায় শিশু ও প্রসূতী মায়েদের বসতে দেওয়া যায় না।এই কেন্দ্রের কর্মী সুনিতা মুর্মু বলেন, কেন্দ্রে নিজস্ব ঘর নেই। অন্যের রান্নাঘরে রান্না করতে হয়। মালপত্র রাখার জায়গা নেই। ইঁদুরের উৎপাত। এমনিতেই পর্যাপ্ত সরঞ্জাম দেওয়া হয় না। তার মধ্যে ইঁদুরের কারণে অনেকটাই নষ্ট হয়। সেই ঘাটতি আর পূরণ করা সম্ভব হয় না।
পুষ্পা ছেত্রী খুনে অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত
এই অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের অধীনে ৪৭ জন শিশু ও প্রসূতি মা রয়েছে। সরকারিভাবে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তার দাবি জানিয়েছেন তিনি।পাপিয়া সিং নামের এক অভিভাবক বলেন, এখানে ঘর নেই। ঘর হলে ভালো হয়। সেক্ষেত্রে বাচ্চাদের লেখাপড়াও করানো সম্ভব হবে।জলি টুডু নামের অপর এক অভিভাবক বলেন, অনেক সময় খাবারের মধ্যে পোকা দেখা যায়। অন্যের বাড়িতে কষ্ট করে রান্না হচ্ছে। এখানে একটি ঘর তৈরি করে দিলে ভালো হয়।
নার্সিংহোমে শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা
রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য উত্তম কর বলেন, ওই এলাকার বেশ কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা। একাধিক বার সিডিপিও ও বিডিওর কাছে দরবার করেও কোন ব্যবস্থা হয়নি।