নিউজ ডেস্ক, ২৩ জুলাই : বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। আর ৫০০ এর মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পেয়ে এককভাবে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান দখল করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে মুর্শিদাবাদের কান্দির রুমানা সুলতানা।
এদিন মেধাতালিকা প্রকাশের সময় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস প্রথম স্থানাধিকারী রুমানা সুলতানার নাম বলার সময় বেশ কয়েকবার ‘মুসলিম কন্যা’ শব্দটি ব্যবহার করেন। যা নিয়ে গর্জে ওঠে বিরোধী নেতৃত্ব থেকে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন।উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিন সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকের নাম বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে একটা ইতিহাস সংসদে হয়েছে। একক ভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন এক মুসলিম কন্যা। মুসলিম… মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে একজন মুসলিম লেডি… গার্ল। তিনি একক ভাবে ৪৯৯ সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন।” আর ঠিক এরপর থেকেই শুরু হয় বিতর্কের ঝড়।এই বিষয়ে সুর চড়িয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। রাজনৈতিক নেতৃত্বের পাশাপাশি শিক্ষাবিদ সহ রাজ্যের বহু মানুষ ধর্মের কথা উল্লেখ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিতর্ককে ধামাচাপা দিতে আসরে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সূত্রের খবর সংসদের দাবি, ধর্মকে বড় করে দেখা হয়নি। বরং হাজারও প্রতিবন্ধকতাকে তুচ্ছ প্রমাণ করে একজন ছাত্রী কত ভাল ফল করেছে তা বোঝাতেই ‘মুসলিম মেয়ে’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে বলেই দাবি। যদিও অনেকে এই সাফাইতে কান দিতে নারাজ। কারণ, মাধ্যমিকে রুমানা পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিল। সেক্ষেত্রে তার মেধার কথা তুলে ধরার সময় ধর্মের কথা উল্লেখ করা হয়নি। কেন তবে উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘মুসলিম কন্যা’ বলা হল, সেই প্রশ্নই উঠছে।
যদিও এই বিষয়ে ওই ছাত্রী এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “মুসলিম না বললেই ভাল হত। একজন ছাত্রী বললেই বেশি ভাল হত। তবে আমি এটা নিয়ে কোনও বিতর্ক চাই না।” বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক না-করার জন্যও আবেদন জানিয়েছেন রুমানা।
আরও খবর পড়ুন : বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে অল্প বয়সের তরুণীদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে তালিবানরা