নিউজ ডেস্ক , ২৭ ডিসেম্বর : ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাকি আর কয়েক মাস। তার আগে সারদা কাণ্ড নিয়ে ফের সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করেছে সিবিআই। সারদা মামলায় রাজীব কুমারকে হেফাজতে চেয়ে শনিবারই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। ২৭৭ পাতার আবেদনপত্রে কুণাল ঘোষ, দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক অভিযুক্তের বয়ানের কপি জমা দিয়ে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এবারে সারদা মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে গ্রেফতারের দাবি জানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
সিবিআইয়ের আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১-র বিধানসভা ভোটে একটি দলের সমর্থনে টাকা ঢেলেছিল সারদা ও অ্যালকেমিস্ট। ২০৫ জন প্রার্থীর প্রত্যেককে ২৫ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়। টাকা বিলির দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা মুকুল রায় এবং প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদার। এপ্রসঙ্গে শনিবার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, রাজীব নিরপেক্ষ ভূমিকা নিলে এই অবস্থা হত না, রাজীব বহু প্রভাবশালীকে ছাড় দেন, রাজীবের পুলিশ অত্যাচার করে, আমাকে বলির পাঁঠা করা হয়, ষড়যন্ত্রকারীদের অনেকেই বিজেপিতে, মুকুল রায়কে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক বলেও দাবি করেন কুণাল। যদিও এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “কুণাল ঘোষ তো অনেকের নামই বলেছিলেন। তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদের সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।”এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ইডি-কে দেওয়া বয়ানের কপিও জমা দিয়েছে সিবিআই। তবে সিবিআইয়ের দাবী, দেবযানীর দেওয়া নথি এবং ল্যাপটপের কোনও উল্লেখ সিজার লিস্টে নেই! মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সারদা গোষ্ঠীর মিডিয়া সংস্থাকে টানা ২৩ মাস ২৭ লক্ষ টাকা করে মোট ৬ কোটি ২১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।সেসময় বিধাননগরের পুলিশের কমিশনার ছিলেন রাজীব কুমার, তাই তিনি তাঁর দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতা আদায়ে লড়াইয়ের ময়দান এক ইঞ্চিও ছাড়তে নারাজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি আর তারই মাঝে সারদা মামলা পরিস্থিতি আরোও জটিল করে দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।