নিউজ ডেস্ক , ২৭ ডিসেম্বর : জলের অপর নাম জীবন। সুস্বাস্থ্যের জন্য জলের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব কতটা, তা আমাদের সকলের জানা। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ শরীরের জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমান জল পান অত্যন্ত প্রয়োজন। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা, শরীরকে সচল রাখা, ত্বক ও চুলকে ঠিক রাখা, কিডনির যত্ন নেওয়া, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য জল অত্যন্ত উপকারী উপাদান। আমরা সাধারণত নর্মাল বা ঠাণ্ডা জল পান করে থাকি। তবে গরম জল পান করা যে আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী, তা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। ঠাণ্ডা জলের পরিবর্তে উষ্ণ গরম জল পান করলে আপনি পেতে পারেন ভালো ফল। চিকিৎসকদের মতে, সারাদিনে ১-২ গ্লাস গরম জল পান করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু বিশেষ সুবিধা বয়ে আনতে পারে। উষ্ণ গরম জল হজম ক্ষমতা ও রক্ত চলাচলকে উন্নত করতে, ওজন হ্রাস করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করতে সহায়তা করে।
১) শীতকালে খাবার হজম হতে এমনিই সমস্যা হয়। খুব সহজেই গ্যাস, অম্বল এসব হয়। আর রাতে গুরুপাক খাওয়া হলে সমস্যা একটু বেশিই হয়। যে দিন রুটিনের বাইরে ডিনারের মেনু থাকবে সেদিন শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যই গরম জল খান। এছাড়াও সামান্য লেবুর রস ফেলেও গরম জল খেতে পারেন। এতে হজম ভালো হবে। সকালে পেটও পরিষ্কার হবে।
২) গরম জল শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এবং খিদে কমায়। ফলে ক্যালোরি ইনটেক কম হয়, যা দ্রুত ওজন ঝরাতে সহায়ক। তাই প্রতিদিন সকালে খালিপেটে লেবু বা মধু এক গ্লাস গরম জলে মিশিয়ে পান করুন।
৩) গরম জল পান করলে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হয় বলে এটি শরীরের প্রতিটি স্নায়ুকে সচল রাখতে সাহায্য করে, যা শরীরের বিভিন্ন ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। মাথা যন্ত্রণা, গাঁটে ব্যথায় আরামদায়ক গরম জল।
৪) সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম জল খেলে তা আমাদের চিন্তা কমায়। কারণ এতে স্নায়বিক উত্তেজনা কমে। স্নায়ু শিথিল থাকে। ফলে আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারি।
৫) নারীদের গরম জল পান করার একটি বড় সুবিধা হলো, এটি অনিয়মিত ঋতুস্রাব ঠিক করতে এবং ঋতুস্রাবের ব্যথা থেকে উপশম দিতে সহায়তা করে। অনেক সময় রক্ত জমাট বেঁধে তা বেরোতে না পারলে ব্যথা হতে থাকে। এ সময় গরম জল পান করলে জমাট রক্ত ভেঙে ব্লাড ফ্লো সঠিকভাবে হয়, যা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
৬) কোষ্ঠকাঠিন্য বহু মানুষের সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস করে গরম জল পান করুন। এটি অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় অন্ত্রকে সংকুচিত করে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।