জিটাল ডেস্ক: সীমান্তে আপাতত শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় থাকলেও, ভেতরে ভেতরে যেন যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির ছাপ স্পষ্ট। মঙ্গলবার (Tuesday) সকালে দিল্লির সাউথ ব্লকে (South Block) উচ্চপর্যায়ের এক জরুরি বৈঠকে বসেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। উপস্থিত ছিলেন দেশের সর্বোচ্চ সামরিক নেতৃত্ব—চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান (CDS Gen. Anil Chauhan), স্থলবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Army Chief Gen. Upendra Dwivedi), নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী (Navy Chief Adm. Dinesh K. Tripathi) এবং প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং (Rajesh Kumar Singh)।
Delhi | Defence Minister Rajnath Singh held a meeting with Defence Secretary, CDS, Navy Chief and Army Chief
(Source: Defence Minister’s office) pic.twitter.com/BF9AHZwkc4
— ANI (@ANI) May 13, 2025
সংঘর্ষবিরতির মাঝেও এমন বৈঠকের সিদ্ধান্তে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক মহলে। পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)-এর সাফল্যের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মিথ্যাচার ফাঁস করা সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরকে প্রাণনাশের হুমকি
তবে এই উচ্চপর্যায়ের তৎপরতা শুরু হয়েছে আরও আগে থেকেই। সোমবার (Monday) রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। ভাষণে তিনি স্পষ্ট বলেন, “পাকিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদ আজ একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে।” দেশের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁর এই কড়া বার্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিরক্ষা মহলে তড়িঘড়ি বৈঠক, যা থেকে স্পষ্ট—দিল্লির মনোভাব আর আগের মতো নয়।
এদিকে সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনেও মঙ্গলবার সকালেই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর (EAM S. Jaishankar) এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (NSA Ajit Doval) ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য পৌঁছে গিয়েছেন বলে খবর। পাঞ্জাব সফর সেরে দিল্লি ফিরে বৈঠকে যোগ দেন মোদি।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সীমান্তে নতুন করে সেনা অভিযান না হলেও, কূটনৈতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে ফের বড়সড় ধাক্কা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। সাম্প্রতিক বৈঠকগুলি সেই ইঙ্গিতই বহন করছে। এখন দেখার বিষয়, কেন্দ্র কতটা আক্রমণাত্মক কৌশল নেয় আন্তর্জাতিক মঞ্চে।