নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁচল, ১ মে : আংশিক লকডাউনের নির্দেশিকা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও খোলা রয়েছে বাজার হাট-দোকান।সরকারী নির্দেশ অনুযায়ী সকাল সাতটা থেকে সকাল দশটা এবং দুপুর তিনটে থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বাজার ও হাটগুলি খোলা থাকবে।কিন্তু চাঁচলে ঘড়ির কাঁটায় দশটা অতিক্রান্ত হলেও খোলা বাজার হাট।
সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চাঁচল দৈনিক বাজারে চলছে বেচাকেনা। অধিকাংশ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। পুলিশ ও মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে চাঁচল শহরজুড়ে মাইকিং করা হলেও হেলদোল নেই কারোরই।অন্যদিকে মালদা জেলার যে সব জায়গায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উর্দ্ধমুখী তার মধ্যে অন্যতম হল হরিশচন্দ্রপুর। কিন্তু এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরে বাজার হাট থেকে শুরু করে সমস্ত ধরণের কাজ চলছে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও। এমনকি অধিকাংশ বাসিন্দার মুখে নেই মাস্ক। এক পথযাত্রীকে মাস্ক ছাড়া অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দেন, মাস্ক বাড়িতেই ভুলে রেখে এসেছেন। অন্যদিকে লকডাউনের নির্দেশিকা অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় স্থানীয় এক দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, তিনি চাঁচলে ছিলেন ফলে লকডাউনের বিষয়ে তার জানা নেই।এরপরেই সকাল ১১টার পর কড়া হাতে পথে নামেন চাঁচল মহকুমা শাসক সঞ্জয়পাল । পুলিশ বাহিনীকে সাথে নিয়ে অভিযান চালান শহরের প্রতিটি দোকান, বাজারে।শহরের তরলতলা থেকে এদিন অভিযান চালান যা গোটা চাঁচল শহরের একাধিক এলাকায়। লকডাউন এবং করোণা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়।মাস্ক না থাকায় অনেককেই সতর্ক করা হয়। মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল জানিয়েছেন, সরকারী নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়েও অনেকে দোকান খোলা রেখেছিলেন। সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী সময়সীমার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে সকলেই সহযোগীতা করেছে। অন্যদিকে মাস্ক ছাড়া যারা পথে বেরিয়েছে তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল।