নিজস্ব সংবাদদাতা , ইটাহার , ২৭ ডিসেম্বর : বিয়ের পর এক গৃহবধূর বাপের বাড়ির ঠিকানা থেকে শশুরবাড়ীর ঠিকানায় নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে নথিপত্র জমা দেওয়ার পরও গৃহবধুর নাম নথিভুক্ত করা তো দুরের কথা তাকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে। এমনি অভিযোগ ইটাহার থানার বিজেপি পরিচালিত দুর্লভপুর পঞ্চায়েত দপ্তর এলাকার আশরফপুর গ্রামের জয়া দেবশর্মা বর্মণ -এর।
কয়েক বছর আগে কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকার মালগাও পঞ্চায়েতের বাসিন্দা কূলদাকান্ত দেবশমা’র মেয়ে জয়া দেবশমা’র সঙ্গে বিয়ে হয় ইটাহার থানার দুল’ভপুর অঞ্জলের আশরাফপুর গ্রামের বাসিন্দা মদন বর্মনের। গৃহবধূ জয়া দেবশমা’ বম’ন বলেন, অনলাইনে আমার বাবার বাড়ির ঠিকানা থেকে শ্বশুর বাড়ির ঠিকানায় ভোটার কাডে’র নাম তোলার জন্য আবেদন করি। নিদির্ষ্ট নথিপত্র জমা দিয়েছি, কিন্তু পঞ্চায়েত দপ্তর মারফত জানতে পারি আমার নাম সরকারী কাগজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমাকে মৃত বলে দেখানো হচ্ছে। ফলে আমাকে হয়রানি হতে হচ্ছে। যদিও পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্মী আব্দুল সাত্তার জানান, যে সংসদে এই কাজ করেছিলাম সেই সংসদে জয়া দেবশমা’বম’ন নামে কেউ নেই বলে আমরা জানতে পেরেছিলাম। ফলে তার নাম বাদ দেওয়া হোক সেই হিসেবে লিখিত ভাবে পঞ্চায়েত দপ্তরে কাগজও জমা দেওয়া হয়েছিল। আমরা এই ধরনের কাজের জন্য কাউকে মৃত বলে দেখাতে পারিনা। এমনকি কাউকে মৃত বলে উল্লেখও করতে পারি না।এমনকি তা বলাও হয়নি।