রায়গঞ্জ, ১০ জুলাই : এক গৃহবধুকে মারধর করে খুন করার অভিযোগ উঠলো স্বামী সহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার নরম কলোনী গ্রামে। মৃতার নাম মিনতি দাস ( ২৫)। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতার বাড়ীর লোকেরা তাঁর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সাত জনের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী সাধন দাস ও শাশুড়ি মমতা দাসকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্র জানা গিয়েছে, ছয় বছর আগে রায়গঞ্জ থানার নরম কলোনী গ্রামের বাসিন্দা বিমল দাসের মেয়ে মিনতি দাসের সাথে মালদা জেলার চাঁচলের বাকিপুর গ্রামের বাসিন্দা গনপতি দাসের ছেলে সাধন দাসের বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছর যেতে না যেতেই টাকার দাবীতে মিনতি দাসের উপর তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ।এরপর গত এক মাস ধরে মিনতি তার বাপের বাড়িতে থাকতো। গত বৃহস্পতিবার গৃহবধূর স্বামী সাধন দাস, ভাসুর সদো দাস ও মিনতির জা এসে মিনতিকে মারধোর করে বলে অভিযোগ। সেসময় ওই গৃহবধূর বাবা মা বাড়িতে ছিলেন না। মিনতির চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় মিনতিকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।খবর পেয়ে শনিবার সকালে মৃতার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ীর অন্যান্য সদস্যরা তাঁর বাড়ীতে এলে মিনতির পরিবারের সদস্যদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পরে সাধন সহ তাঁর পরিবারের লোকেরা। এরপর রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাধন দাস ও তাঁর মা মমতা দাসে আটক করে এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে মৃতার স্বামী সাধন দাস। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতার বাবা বিমল দাস সাধন দাস সহ শ্বশুরবাড়ি অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও খবর পড়ুন : দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন স্বর্ণ ব্যবসায়ী