নিউজ ডেস্ক , ১৭ইজানুয়ারী :সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিধানসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর এবারে শাসক তৃণমূলের লক্ষ পঞ্চায়েত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ফল তুলনামূলকভাবে কিছুটা ভালো হলেও এবারে চ্যালেঞ্জের সাথে সম্মুখ সমরে শাসক শিবির। তারই অঙ্গ হিসেবে কর্মীদের বিশেষ বার্তা দিতে তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের উদ্যোগে রাজ্যের জেলায় জেলায় চলছে পঞ্চায়েতী সভা। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলা মহিলা তৃণমূলের পরিচালনায় রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রধানবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন, জেলা মহিলা তৃণমূলের সভাপতি চৈতালি ঘোষ সাহা, মোশারফ হোসেন, সন্দীপ বিশ্বাস, পূর্নেন্দু দে, প্রিয়তোষ মুখার্জি, আলেমা নুরি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই সভার সূচনা হয়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের মাদার সহ সমস্ত শাখা সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াইয়ে নামার বার্তা দেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়াও দলের নির্দেশ মেনে প্রতিটি এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ প্রকল্পকে সাফল্যের সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও বার্তা দেন তিনি। সমস্তস্তরের কর্মীদের মানুষের সাথে থেকে কাজ করার পরামর্শ দেন রাজ্য মহিলা সভানেত্রী। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চন্দ্রিমা দেবী বলেন, গত ১লা নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই সভা। ৩১ টি সাংগঠনিক জেলায় এই কর্মসূচি চলছে। পাশাপাশি চলছে চলো গ্রামে যাই কর্মসূচি। এদিন বেশকিছু গ্রামের মহিলার সাথেও তিনি কথা বলেন। বিরোধীদের সমালোচনা কে তিনি ‘ঢপের চপ’ বলে কটাক্ষ করেন। এরাজ্যে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি নিয়েও তিনি যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করেন।বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় দিদির সুরক্ষা কবচ হিসেবে যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পরছেন দিদির দূতেরা। এ বিষয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, জনসংযোগে কোনো খামতি নেই। মানুষ তাদের অসুবিধের কথা তুলে ধরছেন। আর সেটা শোনার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের উদ্যোগে পঞ্চায়েতী সভায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
