নিজস্ব সংবাদদাতা , হরিশ্চন্দ্রপুর , ০৮ ফেব্রুয়ারি : পরিবারের ভরণপোষণে শ্রমিকের কাজে পাড়ি দিয়েছিলেন ভিনরাজ্যে। কিন্তু ছেলে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ায় হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদাতে বাড়ি ফিরে এসেছেন মামুন শেখ।কয়েক বছর ধরে রাজস্থানে দিনমজুরি করে কোনোরকমে দিন গুজরান করতেন মামুন।
কুশিদার মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা মামুনের দুই ছেলে দুই মেয়ে। সংসার চালাতে পাঁচ বছর ধরে সপরিবারে আজমিরে থাকেন। লকডাউনেও সেখানে ছিলেন। কুশিদায় বাড়ি বলতে ভাঙাচোরা মাটির বাড়ি। আবেদন করেও আবাস যোজনায় ঘর মেলেনি বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি আজমিরে বড় ছেলে নাসিরুদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখানে তার চিকিৎসা করার পরেই তার ক্যানসার ধরা পড়ে। ভিন রাজ্যে বসেই নিজের এলাকায় প্রশাসনের তরফে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেওয়া হচ্ছে জানতে পারেন। সেই কার্ড থাকলে নিখরচায় ছেলের চিকিৎসা করাতে পারবেন। তাই দেরি না করে ভিন রাজ্য থেকে নিজের বাড়িতে ক্যান্সারাক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক মামুন এর স্ত্রী নাসিমা খাতুন বাড়ি ফিরে আসেন।যদিও কার্ডের জন্য আবেদন করা হলেও এখনো তা মেলেনি। ফলে এখানে এসেও সেভাবে ছেলের চিকিতসা করাতে পারেননি পরিজনেরা। যেকারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তার মা ও অন্যান্য সদস্যরা।মা নাসিমা খাতুন জানান, ছেলের ক্যানসার ধরা পড়লেও চিকিৎসার জন্য টাকা নেই। চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডই ভরসা। নাহলে ছেলেকে বাঁচাতে পারব না। এখন কবে কার্ড পাওয়া যাবে সেই অপেক্ষাতে আছেন তিনি।দ্রুত কার্ড দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তার মা নাসিমা খাতুন।
অন্যদিকে কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মোহাম্মদ নূর আজম বলেন, ওরা রোজগারের জন্য সপরিবারে আজমিরে থাকে। আশা করছি অল্প দিনের মধ্যে কার্ড হয়ে যাবে। ঐ পরিবার ইন্দিরা আবাস যোজনার ঘরও পায়নি। এর আগের যে ডেটা অনুযায়ী কাজ হয়েছে তাতে পুরো গ্রামের নাম নেই। পরে তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর যে লিষ্ট হয়েছে তাতে ঐ পরিবারের নাম আছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অপরদিকে এবিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানিয়েছেন, আবেদনপত্র জমা পড়েছে। দ্রুত যাতে ওরা কার্ড পায় তার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।