নিউজ ডেস্ক , ২৯ জানুয়ারী : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বেশকিছু আসনে প্রার্থী দেবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। সম্প্রতি একথা ঘোষণা করেছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (JMM) সভাপতি তথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে প্রার্থী দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর এতে আপত্তি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগাভাগি রুখতে হেমন্ত সরেনকে হুঁশিয়ার দিতে ছাড়েননি তৃণমূল নেত্রী।
সামনে পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন৷ এই পরিস্থিতিতে সব দলই সর্বাধিক আসন জিততে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পিছিয়ে নেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, বিরোধী দল বিজেপি ডান-বাম কিংবা প্রতিবেশী রাজ্যগুলির আঞ্চলিক দলগুলিও। সম্প্রতি রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের ৪০টি আসনে লড়াই করবে তাঁর দল। হেমন্ত সরেনের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে আদিবাসীদের অধিকার খর্ব করে প্রতিনিয়ত তাদের ওপর দমনপীড়ন নীতি চলছে৷ তাই আদিবাসীদের সংবিধানে উল্লেখিত অধিকার রক্ষায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা লড়াই করবে বলে জানান তিনি। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ রাজ্যে বিজেপির বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হলে তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপদ বাড়বে। আর সেই বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সভাপতিকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তিনি ঝাড়খণ্ডে বাঙালিদের ভোট চাইতে যান না। অথচ ঝাড়খন্ড থেকে কেন আদিবাসীদের তিনি চাইতে আসছেন? উল্লেখ্য গত লোকসভা ভোটের সময় কলকাতায় আয়োজিত ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হয়ে হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছিলেন। আর এখন বিধানসভা ভোটে হেমন্ত সরেনের দল লড়াই করতে চলেছে এরাজ্যে। স্বাভাবিকভাবেই ভোট বড় বালাই৷ আর ভোটকে সামনে রেখে রাজনীতিতে সবই সম্ভব।