নিউজ ডেস্ক , ০১ ডিসেম্বর : আজ পয়লা ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিশ্ব এইডস দিবস। এইচআইভি এইডস একটি ভয়ঙ্কর মারণ ব্যাধি। প্রতিবছর বিশ্বে প্রচুর মানুষ মারা যান। ভারতের মতন জনবহুল রাষ্ট্রে সংখ্যাটাও অনেক। স্বাভাবিকভাবেই মানুষকে সচেতন করতে প্রতিবছর স্বাস্থ্য দফতর, রাজ্য এইডস্ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে পালিত হয় দিনটি৷ ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর ১লা ডিসেম্বর এইডস্ দিবস পালিত হয়ে আসছে ৷
কিভাবে ছড়ায় এই রোগ? দীর্ঘ সময় ধরে আলাদা কোনও শারীরিক সমস্যা ছাড়াই এই মারণ রোগ শরীরে জাঁকিয়ে বসে। ধীরে ধীরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। অসুরক্ষিত যৌনজীবন, ওরাল সেক্স, আক্রান্তের রক্ত শরীরে ঢুকে যাওয়া, বাবা-মায়ের শরীর থেকে নবজাতকের শরীরে রক্ত বয়ে আসা সহ বিভিন্ন কারণে এইডস হতে পারে। কবে এই রোগ প্রকাশ্যে আসে ? ১৯৮১ সালে প্রথম এই রোগ ধরা পড়ে। উনবিংশ শতকে পশ্চিম-মধ্য আফ্রিকা থেকে এই রোগ সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হয়। পৃথিবীর নিম্ন আয়ের বা অনুন্নত দেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি এইডস আক্রান্তের সংখ্যা সাব সাহারান আফ্রিকায়। ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা অনেক। সারা পৃথিবীতে এদেশ আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। প্রতিবছর অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ এইডসের কারণে মারা যান। তবে বিভিন্ন আন্তজার্তিক সংস্থা, জাতীয় ও আঞ্চলিকস্তরে ব্যাপক সচেতনতা প্রচারের কারণে বিশ্বে গত দেড় দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। অর্থাৎ এইডসের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে হলেও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে মানব সমাজ। অনুন্নত দেশগুলিতে যৌনতা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে এই রোগের প্রকোপ আরও কমে আসবে।