নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ, ০১ অক্টোবর : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে বসলো সোলার প্যানেল বা সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প। এই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বছরে ১৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে বলে জানা গেছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিল অর্ধেক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার। বৃহস্পতিবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিল ভুইমালি।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হওয়ার পর প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল আসে। এই বিল দিতে অর্থ খরচ হয় সরকারি কোষাগার থেকেই। ফলে সরকারি কোষাগারের ওপর চাপ কমাতে উদ্যোগী হয় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। বছর দু’য়েক আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে আবেদন জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সোলার প্যানেল বসানোর জন্য। সেইমতো এই প্রকল্পকে মঞ্জুর করে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। বরাদ্দ করা হয় প্রয়োজনীয় ৭১ লক্ষ টাকা। ওয়েস্ট বেঙ্গল রিনিউবেল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট এজন্সির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদের উপরে এই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বসানো হয়। বৃহস্পতিবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অনিল ভুইমালি। জানা গেছে উত্তরবঙ্গের মধ্যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প এই প্রথম। অর্থাৎ উত্তরবঙ্গের মধ্যে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপিত হলো। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব চাহিদা মত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহার করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বসানো হয়েছে। ৩৭৭ টি প্যানেল রয়েছে ছাদের উপরে। এই সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে গোটা বছরে ১৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি মাসে যে বিপুল পরিমাণ বিল আসে তা অর্ধেক হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়,এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সাতটি ইনভার্টার বসানো হয়েছে, সেই ইনভার্টারগুলিও ডিসি থেকে এসি এলার্জিতে পরিবর্তিত হবে। অনেক খরচ অনেক বাঁচবে।