নিজস্ব সংবাদদাতা,রায়গঞ্জ, ০১ অক্টোবর : টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে রায়গঞ্জের কুলিক নদী। নদীর দুকুল ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে উঠেছে। কুলিকের জল কার্যত বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে৷ জল বেড়ে যাওয়ায় খরমুজা ঘাটের প্রায় সবকটি সিঁড়ি জলের তলায়৷ নদীর পাশ্ববর্তী বাড়িগুলিও জলমগ্ন৷ স্বাভাবিকভাবেই বন্যার আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের৷
নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে উত্তর দিনাজপুরের সবক’টি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। জেলার অন্যতম বড় নদী নাগর, টাঙ্গন এবং কুলিকের জলে ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের একটা বড় অংশ। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, করণদিঘি সহ ইটাহার ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন নদীর জলে৷ শুধু তাই নয়, বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষীরাও। বহু মানুষ জলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে পরিবার নিয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হয় উত্তরদিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। রায়গঞ্জেও তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির জেরে নদীর জল যে আরও বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই৷ স্বাভাবিকভাবেই পুজোর মুখে বন্যার কবলে পড়ে বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের খরমুজাঘাটে দেখা গেল কুলিক নদীর জল দু’কূল ছাপিয়ে উঠেছে। নদী পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাড়ি ইতিমধ্যে বৃষ্টির জলে জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। তবে যেভাবে জল বাড়ছে এবং বৃষ্টি যদি কয়েক দিন স্থায়ী হয় তাহলে পুজোর মুখে বন্যার কবলে পড়তে পারে রায়গঞ্জও। তবে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে উত্তর দিনাজপুর জেলা সেচ দফতর। নদী বাঁধ ও স্লুইসগেট ঠিকঠাক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।