নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ১৪ অক্টোবর : করোনা আবহে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করায় খেলার অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামের পুরো মাঠ। এই পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিল জেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃপক্ষ। রোলার এবং রোটার মেশিন লাগিয়ে পুরোদমে স্টেডিয়ামের মাঠকে সংষ্কার করা হচ্ছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা সম্পাদক সুদীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন করোনা পরিস্থিতিতে স্টেডিয়ামে কোয়ারিন্টাইন সেন্টার করা হয়। যেকারণে গোটা মাঠে ঘাস বড় বড় হয়ে গিয়েছে। খেলাধুলার পরিস্থিতি নেই।
করোনা সংক্রমণ দেখা যাওয়ার পর থেকে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার করে দেওয়া হয়। গত মার্চ মাস থেকে টানা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয় রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামকে। ফলে গত ছয়-সাত মাস ধরে গোটা স্টেডিয়ামের মাঠ বেহাল হয়ে পড়েছে। মাঠে বড় বড় ঘাস গজিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টিপাতে জল জমে যাওয়ায় গোটা মাঠে খেলার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে৷ স্বাভাবিকভাবেই রায়গঞ্জ স্টেডিয়াম সাধারণ মানুষের কাছে শুধু গর্বেরই নয়, খেলাধুলার পীঠস্থান হিসেবে ব্যবহার হয়। ফলে রায়গঞ্জের প্রিয় স্টেডিয়ামের মাঠ বেহাল দশায় পরিণত হওয়ার কারণে মন ভাল ছিলনা ক্রীড়াবিদদেরও। অনেককেই শরীরচর্চা করতে দেখা যেত রায়গঞ্জের অন্যান্য মাঠগুলোতে৷ অবশেষে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামের মাঠকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয় উত্তর দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সংস্থার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় অবিলম্বে সংস্কার করার বিষয়ে।
সেইমতো বুধবার থেকে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি লাগিয়ে মাঠকে পুরো সংস্কার করা হচ্ছে। মাঠের বড় হয়ে যাওয়া ঘাস ছেঁটে ফেলার পাশাপাশি বৃষ্টিতে সৃষ্টি হওয়া গর্তে ও কাদা মাটি ফেলে মসৃণ করা হচ্ছে যাতে ক্রীড়াবিদরা এই মাঠে খেলাধুলা করতে পারে৷ ক্রীড়া সংস্থা সম্পাদক সুদীপ বিশ্বাস বলেন কোয়েন্টিন সেন্টার করার কারণে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামের মাঠ বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছিল। সেকারণে মাঠটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সংস্কারের কাজে হাত লাগানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই মাঠকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।৷