নিজস্ব সংবাদদাতা , হরিশ্চন্দ্রপুর , ০৩ ডিসেম্বর : গ্রামের পুকুর ধারের আমগাছ থেকে রহস্যজনকভাবে ঝুলে রয়েছে যুগলের দেহ। সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তা নজরে পড়ে এলাকার এক প্রাথমিক শিক্ষকের। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভীড় জমায় গ্রামবাসীরা। বৃ্হস্পতিবার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের কুশীদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নসরপুর মাঠ এলাকায়।
পুলিশসুত্রে জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ওই যুগলের বাড়ি কুশীদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুতুবপুর গ্রামেই।মেয়েটির পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মত খাওয়া শেষে বোনের সাথে ঘুমিয়েছিল সে। সকালে উঠে তার মা দেখতে পায় সে ঘরে নেই।অন্যদিকে ছেলেটির পরিবারসুত্রে জানা গিয়েছে, সে ট্রাক্টরে করে জমির ধান আনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল।কিন্তু তারপর থেকে তার আর দেখা পাওয়া যায়নি। ফোন করলে ফোনেও পাওয়া যায়নি। সকালবেলা বাড়িতে খবর আসে গ্রামেরই আর এক কিশোরীর সাথে সে আত্মঘাতী হয়েছে । এই ঘটনায় হতবাক দুইজনের পরিবারের সকলেই।কারণ তাদের মধ্যে সম্পর্কের কথা পরিবার বা এলাকার কেউ জানত না। একসাথে কোনোদিন তাদের এলাকায় ঘুরতেও দেখা যায়নি।কিশোরীটির মামা বলেন, ওই কিশোর-কিশোরী দুজনেই খুব ভাল ছিল।ওদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল জানতাম না।কিভাবে এই ঘটনা ঘটল ভেবে পাচ্ছি না। অন্যদিকে মৃত কিশোরের ভাই জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যেয় দাদা ধান আনার জন্য জমিতে গিয়েছিল । কিন্তু রাতে বাড়ি ফিরে আসেনি। কিন্তু ওই মেয়ের সাথে দাদার সম্পর্কের ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। তবে মেয়েটির বাড়ি থেকে তাদের একসঙ্গে একটি ছবি উদ্ধার হয়েছে। যদিও কেন তারা এই পদক্ষেপ নিল তা নিয়ে ছড়িয়েছে ধোঁয়াশা। খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহদুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।