নিউজ ডেস্ক, পুরাতন মালদা, ১৩ সেপ্টেম্বর : স্বামী অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন না কিনে দেওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী হলেন স্ত্রী। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ী সারদা কলোনি এলাকায়। তড়িঘড়ি আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের লোকেরা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলেও চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে। মৃত স্ত্রীর নাম কৃষ্ণা প্রামানিক(৩০)। তাঁর স্বামী দীনেশ প্রামানিক পেশায় টোটো চালক।
পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ী সারদাপল্লী এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তারা। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই স্ত্রী কৃষ্ণা প্রামানিক স্বামীর কাছে মোবাইল অ্যান্ড্রয়েড সেট কেনার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু স্বামী দীনেশ প্রামানিক পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছিল সে অত টাকা দিয়ে মোবাইল কিনে দিতে পারবেন না। এই নিয়েই প্রায়ই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলত। এদিন দুপুরে স্বামী টোটো নিয়ে ভাড়া খাটতে গেলে সেই ফাঁকে নিজের শোওয়ার ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ওই গৃহবধূ। দুপুরে খাবার খেতে বাড়িতে গেলে স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান দীনেশ। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলেও চিকিৎসকরা দেখেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের ঘরের সামনে ছুটে চলে আসেন ওই গৃহবধূর বাবা বাদল সূত্রধর।
তিনি নিজেও মেয়ের এই জেদের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন এদিন সকালেও তাঁর মেয়ে তাঁকে ফোন করে মোবাইল ফোন কেনার বিষয়টি জানায়। অহেতুক এই মোবাইল কেনার বায়না নিয়ে জামাইকে যাতে কোনরকম চাপ না দেওয়া হয় সেব্যাপারেও মেয়েকে বোঝান তিনি। কিন্তু তাতেও কাজ হয় নি। প্রিয় বাবা ও স্বামীর কাছ থেকে মোবাইল কেনা নিয়ে এরকম আচরণ পেয়ে স্বামীর প্রতি অভিমান করে নিজে শোয়ার ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ওই গৃহবধূ। সামান্য মোবাইল কিনে না দেওয়ায় নিজের জীবন শেষ করা কতটা বুদ্ধিমানের কাজ তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে