নিউজ ডেস্ক , ২৮ নভেম্বর : বাসি-পচা খিচুড়ি বিতরণ করা হল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। আর এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ ব্লকের ১২ নং বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গৈতোর এলাকায়।
পুলিশ কিয়ক্স এর সামনে উদ্ধার দেহ,চাঞ্চল্য এলাকায়
এই এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অধীনে ৮৫ জনের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। যারা প্রতিদিন এই কেন্দ্র থেকে খাবার সংগ্রহ করে। গ্রামবাসীরা জানান, গত শনিবার এই কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল। অভিযোগ, সেদিনের বেঁচে যাওয়া খিচুড়ি মঙ্গলবার গরম করে পরিবেশন করা হয়। দূর্গন্ধ যুক্ত সেই খিচুড়ি দেখেই ক্ষোভে ফেটে পরেন এলাকার সাধারণ মানুষ। তারা কর্মী ও সহায়িকা ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। বের করে আনা হয় পচা খিচুড়ির হাঁড়ি। কেন এই নিম্নমানের খিচুড়ি পরিবেশন করা হল তা নিয়ে কৈফিয়ত চান গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এরপর ঐ কর্মী ও সহায়িকার শরীরে ঢেলে দেওয়া হয় পচা খিচুড়ি। গ্রামবাসী বিষ্ণু সরকার জানান, এই কেন্দ্রে ঠিকমত কর্মী আসেন না।
পুলিশ কিয়ক্স এর সামনে উদ্ধার দেহ,চাঞ্চল্য এলাকায়
সহায়িকাকে দিয়েই কেন্দ্র চালানো হয়। কোনো দিন খাবার বেঁচে গেলে ৩-৪ দিন পর তা বিতরণ করা হয়। খাবারের কোনো সিডিউল নেই।গ্রামবাসী রত্না সরকারের অভিযোগ, এখানে প্রতিনিয়ত নিম্ন মানের খাবার দেওয়া হয়।চাল ডালের মান একেবারেই নিম্ন। পোকা ধরা চাল ডাল দিয়ে রান্না করা হয়। তেল, সবজির কোনে বালাই নেই। সরকার থেকে ভালো জিনিস সরবরাহ করা হলেও। তা সবটাই কর্মী ও সহায়িকা আত্মসাৎ করে। এই ২ জনের বদলি চান তারা। ঘটনার কথা জানার পর ছুটে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কল্পনা সরকার। তিনি ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠক
এদের বদলির দাবী জানিয়েছেন তিনিও। এদিকে এই ঘটনায় চাপে পরে নিজের ঘাড় থেকে দোষ ঝেড়েছেন ঐ কেন্দ্রের কর্মী বিজলী সিংহ। তিনি পুরোপুরি সহায়িকার কাঁধে দায় চাপিয়েছেন। যদিও অভিযুক্ত সহায়িকা ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয়। তার কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত বিজলী সিংহ কে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।