নিউজ ডেস্ক , ০৯ নভেম্বর : আর মাত্র কটা দিনের অপেক্ষা। তারপরই অনুষ্ঠিত হবে কালীপুজো। যাকে ঘিরে জোড়কদমে চলছে পুজো প্রস্তুতি। পুজো প্রাঙ্গনের পাশাপাশি কুমোরটুলিতেও চলছে জোড় ব্যস্ততা। দিনরাত এক করে চলছে কাজ। মৃৎশিল্পীদের দাবী, জিনিসের দাম বাড়লেও দাম বাড়েনি প্রতিমার
আর মাত্র কদিনের প্রতীক্ষা। তারপরই আসছে দীপাবলি। আলোর উৎসব ঘিরে মেতে উঠবেন আপামর সাধারণ মানুষজন। দীপাবলিতে রীতি মেনে অনুষ্ঠিত হয় কালীপুজো। দুর্গাপুজোর পর শ্যামা আরাধনায় ব্রতী হবেন আপামর মানুষজন। যাকে ঘিরে বিভিন্ন মন্ডপগুলিতে চলছে জোড় প্রস্তুতি। শুধুমাত্র মন্ডপ নয় কুমোরটুলিও এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা। দুর্গাপুজোয় যেমন তেমন, কালী পুজোর প্রতিমা বানাতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় মৃৎশিল্পীদের। কেননা দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোর আগে হাতে মাত্র ১৪-১৫ দিন সময় থাকে। এই স্বল্প সময়ের মধ্যেৃদিন রাত এক করে প্রতিমা নির্মান করতে হয়। ফলে সমস্যা হয় অনেকটাই। কিন্তু তার মধ্যেই দেবীর কৃপায় কাজ ভালো ভাবেই সম্পন্ন হয়ে যায়। ফলে এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে অর্ডারের প্রতিমা তৈরী করছেন কুমোরটুলির শিল্পীরা। তবে বর্তমানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে মৃৎশিল্পীরা কিছুটা হলেও হতাশ। কেননা তাদের কথায় প্রতিমা তৈরীর সরঞ্জামের দাম বাড়লেও সেই অনুযায়ী বাড়েনি প্রতিমার দাম। রায়গঞ্জ শহরের কুমোরটুলি থেকে শোনা গেল একই সুর।
দূর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ গাঁজা
জয়ন্ত পাল নামের এক মৃৎশিল্পী জানান, অর্ডারের প্রতিমা ছাড়া অতিরিক্ত কাজ করেননা। একদিকে সময় কম তার উপরে জিনিস পত্রের দাম বেশী তাই ঝুঁকি নিতে চান না। দীর্গদিন থেকে যারা প্রতিমা নেন তারা মন হলে দাম কিছু বাড়িয়ে দোন। তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তবে এভাবে চললে আগামীতে চরম দুরাবস্থায়,পরতে হবে বলে আশঙ্কা জয়ন্ত পালের। চিত্ত পাল নামের এক প্রবীন মৃৎশিল্পী জানান, বাজার মোটের উপরে ভালো আছে বলা যায়। গতবারের মত চাহিদা একই রকম রয়েছে। তবে জিনিসের দাম বাড়লেও প্রতিমার দাম বাড়েনি। তাই এবারেও ১০ টি প্রতিমা তৈরী করেছেন চিত্ত পাল।