নিউজ ডেস্ক , ২৫ ডিসেম্বর : একদিকে করোনা মহামারী অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতি৷ জোড়া আক্রমণে বেসামাল দেউলিয়া পাকিস্তান। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বিপাকে পড়েছে দেশের আমজনতা। বাজারে শাকসবজি থেকে শুরু করে মাছ মাংস ডিম অর্থাৎ খাদ্য সামগ্রীর দাম নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।
এমতাবস্থায় কার্যত দু’বেলা দু’মুঠো ভাত জোগাড় করাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের কাছে৷ শীতের এই মরসুমে বেড়েছে ডিমের চাহিদা। কেবল ডিমই নয়। অবিশ্বাস্য দাম অন্যান্য সবজির। একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ত্রিশ টাকায়। আদা বিকোচ্ছে ১ হাজার টাকা প্রতি কেজি। গমের দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা। এক কেজি মুরগির মাংসের দাম ৩০০ টাকা। ১ কেজি চিনির মূল্য ১০৪ টাকা। দাম বেড়েছে রান্নার গ্যাসেরও। পাকিস্তানের শোচনীয় অর্থনৈতিক কারণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দায়ী করছেন দেশের সাধারণ মানুষ। ভ্রান্ত অর্থনীতি এবং বিদেশ নীতির কারণে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ঋণধার মেটাবার জন্য চিনের কাছে হাত পাততে হয় পাকিস্তানকে। মোটা অংকের টাকা ঋণ হিসেবে নিলেও তাতে অর্থনীতির চাকা মোটেও সচল হয়নি বরং আরো অবস্থা খারাপ হয়েছে৷ জিনিসের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের লোক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলছেন। ফলে ইমরানের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে দেশের মানুষের ৷