নিউজ ডেস্ক , ২৫ ডিসেম্বর : চরম দূর্ভিক্ষের কবলে উত্তর আফ্রিকার সুদান সহ বেশকিছু প্রদেশ। সুদানের পিবো সহ ওয়ারাপ, জংলেই, বাহার-এল-গাজব ও আরও বেশ কিছু প্রদেশেই চরমে পৌঁছেছে দুর্ভিক্ষ।খাদ্যের অভাবে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে যাচ্ছেন ৩০ হাজার মানুষ। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী সুদানের কয়েক হাজার মানুষকে খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে দীর্ঘ কয়েকদিন।
খিদের জেরে লিকুয়াঙ্গলে শহরে গত দুমাসে মারা গেছে ১৭ জন শিশু। যদিও এক্ষেত্রে সরকারের কোন হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। সরকারী হিসেব অনুযায়ী দেশের মাত্র ১১হাজার মানুষের কাছে খাবার নেই। উল্লেখ্য ২০১৭ সাল থেকে ধীরে ধীরে সূচনা এই দূর্ভিক্ষের। খাদ্যের অভাবের পাশাপাশি গৃহযুদ্ধ আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছিল পরিস্থিতিকে।দেশের অভ্যন্তরীণ এই সংঘর্ষের পিছনে রয়েছে সরকারি মদতও। প্রতিপক্ষকে ঠেকাতে সাধারণ মানুষের হাতে গোপনে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিচ্ছে সরকার, উঠছে এমন অভিযোগও।যদিও গত এপ্রিল-মে মাসেই এবিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল জাতিসংঘ।অনাহারের পাশাপাশি চিকিৎসার অভাবও দুঃসহ করে তুলেছে সুদানের পরিস্থিতি।অবস্থা আয়ত্তে আনতে জাতিসংঘের তিনটি শাখাই এগিয়ে এসেছে সাহায্যের জন্য। তবে বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার মধ্যে কীভাবে খাবারের সমবণ্টন করা সম্ভব তা নিয়ে চিন্তিত সমস্ত সংস্থাই। যদিও দেশের মাত্র ১১ হাজার মানুষ অভুক্ত রয়েছেন বলে দাবী সুদান সরকারের। তাদের কাছে দ্রুত সাহায্যও পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে বাস্তব চিত্রটা অন্য। দেশের প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ রয়েছে ক্ষুধার ‘সিভিয়ার’ পর্যায়ে। আশঙ্কা চলতি বছরে এই পর্যায়ে এসে পৌঁছাবেন দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ।আগামীতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলে দাবী জাতিসংঘের।