নিজস্ব সংবাদদাতা , হরিশ্চন্দ্রপুর , ০৮ ডিসেম্বর : স্ত্রীর মর্যাদা প্রদানের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসলেন এক যুবতী। মঙ্গলবার ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পিপলা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় নয় বছর আগে এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত দাসের সঙ্গে তরুণী পূজা দাসের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পুজার পরিবার প্রশান্তের তুলনায় কম অবস্থাপন্ন হওয়ায় প্রশান্তর পরিবার এই সম্পর্কে রাজী ছিল না।
এনিয়ে তাদের গন্ডগোল ছিলই। চারমাস আগে প্রশান্তকে বাইরে পাঠিয়ে দেয় তার বাড়ির লোকজন। সেখান থেকে ফিরে তরুণীর সঙ্গে দেখা করেন। গত ২৯শে নভেম্বর কয়েকজন গ্রামবাসী ও পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রশান্ত তরুণীর বাড়িতেই থাকতো।কিন্তু গত রবিবার বাইরে বেরিয়ে আর ফিরে আসেনি প্রশান্ত। এরপরেই স্বামীকে ফেরত ও স্ত্রীর মর্যাদা দানের দাবীতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন তরুণী।এমনকী ওই তরুণী যাতে ভেতরে আসতে না পারে তারজন্য দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।কিছুক্ষণ বাদে তরুণীকে ধাক্কা দিয়ে প্রশান্তের পরিবারের লোকজন বাইরে বের করে দিলে
তার পাশে এসে দাঁড়ায় গ্রামবাসীদের একাংশ। শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তার স্বামীকে লুকিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ এনেছে ওই তরুণী।সে জানিয়েছে, স্বামীর দিক থেকে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু গরিব বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই বিয়ে মানতে চাইছেন না। ওরাই ওকে লুকিয়ে রেখেছে। তরুনীর মা ললিতা দাসের জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই তার মেয়ের সঙ্গে ওই যুবকের প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। তাদের বিয়ে হয়। অবিলম্বে এই ঘটনায় ন্যায্য বিচার চাই। খবর পেয়ে আসেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি। তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা।তাদের দুজনের বিয়ের সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, দুই পক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনার সঙ্গে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।