নিজস্ব সংবাদদাতা , হেমতাবাদ , ২৬ মার্চ : মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ভোট প্রচারে নেমেছেন হেমতাবাদ বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী প্রয়াত দেবেন্দ্র নাথ রায়ের স্ত্রী চাঁদিমা রায়।উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৩ জুলাই হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
সে সময় তাদের একমাত্র মেয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল।চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সৃষ্টি ছোটবেলা থেকেই বাবাকে প্রার্থী হতে দেখেছে। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করার পর সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপিতে যোগ দেবার কয়েকমাস পরই দেবেনবাবুর গ্রামের বাড়ি রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবেন মোড়ে একটি মোবাইলের দোকানের সামনে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। অল্প বয়েসের বাবাকে হারাতে হবে এটা কোনদিনই ভাবে নি ছোট্ট মেয়ে সৃষ্টি। বাবার মৃত্যুর পরও তার মনে খুব বেশী প্রভাব ফেলতে পারে নি। এবারে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রয়াত দেবেনবাবুর স্ত্রী চাঁদিমাদেবীকে বিজেপি হেমতাবাদ কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী করেছে। মা সকাল থেকে ভোট প্রচারে এগ্রাম থেকে ওগ্রামে ঘুরে বেরাচ্ছেন। স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ধকল অন্যদিকে শারিরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারনে ছোট মেয়ে সৃষ্টি মায়ের পিছু ছাড়ছে না। তবে এখনও সে যে ছোট আছে চালচলনেই তা পরিস্কার। মা পায়ে হেটে বাড়ি বাড়িতে যাবার আগেই সৃষ্টি সেই বাড়ি পৌছে গিয়ে নিজেই চেয়ার, টুল টেনে নিয়ে বসে পড়ছে। মায়ের প্রচার শেষ হবার আগেই সৃষ্টি অন্য বাড়িতে চলে যাচ্ছে। ছোট্ট মেয়ে সৃষ্টিকে দেখে গ্রামের অনেক মহিলাই চোখের জল ধরে রাখতে পারছে না। সৃষ্টি জানায়, বাবা যেসমস্ত কাজ পূরন করতে পারে নি মা বিধায়িকা হলে সেই কাজ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সম্পর্ন করবে। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মার যাতে কোন রকম সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয় তার জন্য সে মায়ের সঙ্গে সর্বদাই থাকছে। বিজেপি প্রার্থী প্রয়াত দেবেনবাবুর স্ত্রী চাঁদিমাদেবী জানান, প্রার্থী হবার পর সংগঠনের নীচুতলার কর্মিদের বৈঠক করছেন। সেই কর্মসূচীর মাঝেই তিনি এলাকায় ভোট প্রচারও করছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য,পানীয় জলের সমস্যা কথা মানুষের কাছে তুলে ধরছেন।