নিউজ ডেস্ক, ০৫ মার্চ : শীতের মরসুম শেষে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। তবে দাবদাহের প্রকোপ শুরু না হতেই দাবানল দেখা দিয়েছে বিভিন্ন বনভূমিতে।
একদিকে যখন পশ্চিমবঙ্গে দাউ দাউ করে জ্বলছে শুশুনিয়া, অযোধ্যা বনভূমি ; অন্যদিকে সেসময় পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশাতেও দাবানলে দগ্ধ হচ্ছে সিমলিপাল রিজার্ভ ফরেস্ট। প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে শুরু হয়েছে এই দাবানল। পূর্বঘাট পর্বতমালায় অবস্থিত সিমলিপাল এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম বায়োস্ফিয়ার। রয়েছে ৯৪ প্রজাতির অর্কিড সহ ৩ হাজার প্রজাতির গাছ। সরীসৃপ, উভচর, পাখি, স্তন্যপায়ী মিলিয়ে সিমলিপালে পাওয়া যায় প্রায় পাঁচশোর কাছাকাছি প্রাণী প্রজাতি। অন্যদিকে অযোধ্যাতেও দেখা মেলে হরেকরকম প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণির। কিন্তু এই অগ্নিকান্ডে বন্যপ্রাণের অনেকটাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে দাবী পরিবেশবিদদের। তবে কিজন্য প্রায়ই ঘটে এই বিধ্বংসী অগ্নিকান্ড। শুস্ক আবহাওয়া কিংবা জলবায়ুগত পরিবর্তনের ফলে ঘটে এই অগ্নিকান্ড। তবে মানুষের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের কারণেও এই দাবানল ঘটে থাকে বলে দাবী পরিবেশবিদ ও বন্যপ্রাণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের।এই অগ্নিকান্ড সংঘটনের পেছনে অনেকটাই থাকে চোরাশিকারীদের হাতও।তারাই বন্যপ্রাণীদের একদিকে চালিত করে ফাঁদে ফেলার জন্য আগুন লাগিয়ে দেয়।তাছাড়াও স্থানীয় গ্রামবাসীরা অনেকেই যুক্ত মহুয়ার মাদক তৈরিতে। তাঁরাই শুকনো পাতায় আগুন ধরিয়ে দেন। মাটি পরিষ্কার থাকলে মহুয়া ফুল সংগ্রহে সুবিধা হয় তাঁদের। সেখান থেকেও আগুন ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।যদিও আগুনের খবর সামনে আসতেই যুদ্ধে নেমে পড়েছে দমকল ও পুলিশবাহিনী। বনভূমিতে পয়েন্ট চিহ্নিত করে চলছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজও।এরপরেই বোঝা যাবে কতটা ক্ষতি সাধন হয়েছে এই দুই বনভূমি।