নিউজ ডেস্ক , ২৫ জানুয়ারী : চিনের ফের দাদাগিরি! লাদাখ-গালওয়ানের নর্থ সিকিমের (North Sikkim) নাকুলা সীমান্ত থেকে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল চিন সেনারা। জানা গেছে গত সপ্তাহে গালওয়ানের মতোই নাকুলা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল লাল ফৌজ। কিন্তু তাদের বাসনায় জল ঢেলে রুখে দাঁড়ান ভারতীয় জওয়ানরা।
গালওয়ানের মতোই এখানেও দু’দেশের সেনার মধ্যে হাতাহাতি হয় ৷ ভারতীয় সেনার পালটা মারে পিছু হঠে লাল ফৌজ। এই ঘটনায় ২০ জন চিন সেনা আহত হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে আহত পেয়েছেন ৪ ভারতীয় জওয়ানও। বর্তমানে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তবে সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। সীমান্ত সংঘাত ঘিরে চিনের আগ্রাসী ও দাদাগিরি ক্রমবর্ধমান৷ গত বছরের মার্চ মাস থেকে পূর্ব লাদাখে চলছে চিনা ফৌজের আগ্রাসী কার্যকলাপ। লাদাখ সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হলেও কোন সূত্র বের হয়নি। চিনের সেনা জওয়ানরা সেখানে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে চলেছে। চিনের এই দাদাগিরি নিয়ে ভারত একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিলেও তাতে পিছু হটছে না তারা। এরই মধ্যে সপ্তাহখানেক আগে নাকুলা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল চিনের লাল ফৌজ। ভারতীয় জওয়ানরা তাদের বাঁধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়৷ ঘটনায় কুড়ি জন চিন সেনা আহত হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে ৪ জন ভারতীয় সেনাও আহত হয়েছে৷ দুই দেশের মধ্যে গণ্ডগোলের ঘটনায় উত্তপ্ত নাকুলা সীমান্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও বর্তমানে এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনারা৷ শুধু সীমান্ত আগ্রাসী নয়, চিনের দাদাগিরি নিয়ে সরব হয়েছে বাংলাদেশও। বিশ্বের উচ্চতম নদী ইয়ারলুং জ্য়া়ংবোর উপর বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বেজিং৷ যার বাস্তবায়ন হলে বিপদ বাড়বে ভারত, বাংলাদেশের। কারণ বাঁধের কাজ সম্পূর্ণ হলেই নদীপথের পরবর্তী নিচু এলাকায় জলের প্রবাহ কমে যাবে৷ তাতে জলধারার সরবরাহ কমবে ভারতের অংশে৷ এতে আসামের ব্রক্ষ্মপুত্র নদীতে জল সরবরাহ কমে যাবে। বিপাকে পড়বে লক্ষ লক্ষ মানুষ।