নিজস্ব সংবাদদাতা , চাঁচল , ৩০ নভেম্বর : কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত পুরনো বিবাদের জেরে ছাত্র পরিষদ নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য চাচোলের বীরোস্থল এলাকায়।অন্যদিকে পাল্টা ছাত্র পরিষদ সদস্যদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার।জানা গিয়েছে, পুরনো বিবাদ নিয়ে রবিবার রাতে ছাত্র পরিষদ নেতা বাবু সরকার দলবল নিয়ে ছাত্র পরিষদ নেতা দিল্লু কাজির বাড়িতে হামলা চালায়।
মারধর করা হয় দিল্লু কাজী ও তার পরিবারের সদস্যদের।গুরুতর জখম অবস্থায় দিল্লু কাজী চাচল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দিল্লু কাজী জানিয়েছেন, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ বাবু সরকার মেসেজে হুমকী দেয়। এরপরে তার বাড়িতে এসে বাইরে বেরোতে বলে। সেসময় দিল্লু কাজী অন্যান্যদের ডাকাডাকি করলে বাবু সরকার চলে যায়। কিছুক্ষণ বাদে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান মুক্তার হোসেন, তার চার ভাই এবং বাবু সরকার মিলে তার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। তার দিদি ও স্ত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণও করে বলে অভিযোগ করেছেন দিল্লু কাজী।কলেজে ভর্তি নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করাতেই তার ওপর হামলা চালিয়েছে বাবু সরকার ও তার সঙ্গী সাথীরা। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বাবু সরকার। উলটে বাবু সরকারের অভিযোগ, দলীয় কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে তারই ওপর হামলা চালায় দিল্লু কাজী ও তার সঙ্গীরা। বাঁশ দিয়ে মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।তার বাইকও আটকে রাখা হয়।পরে মুক্তার হোসেনকে নিয়ে বাইক ছাড়াতে গেলে ফের তারা মারধোর করে।যদিও কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের অস্বীকার করেছেন বাবু সরকার। তবে বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেসের অন্যায়ের প্রতিবাদ করাতেই তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তার। এই ঘটনায় উভয় পক্ষই চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।