আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ-র জন্মদিন, শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্যরা

 নিউজ ডেস্ক, ১ অক্টোবর :  দেশের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ-র জন্মদিন। ১লা অক্টোবর ১৯৪৫ সালে উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাত জেলার পারাউখ গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মাইকুলাল ছিলেন একজন ভূমিহীন চাষি। ছোট্ট দোকানের উপর নির্ভর ছিল মাইকুলাল কোবিন্দের সংসার। রামনাথ কোবিন্দ জন্মেছিলেন যে মাটির কুঁড়ে ঘরে সেটি এখন আর নেই। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সবথেকে ছোট রামনাথ।

মাত্র ৫ বছর বয়সে তার মা কলাবতী মারা যান। এরপর গ্রামের পাঠশালায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করার পর রামনাথ প্রতিদিন ৬ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে খানপুর গ্রামে জুনিয়ার স্কুলে পড়তে যেতেন। অদম্য প্রচেষ্টা ও মনোবলকে পাথেয় করে উনি কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ডক্টর অমিত কুমার শ্রীবাস্তব কলেজ থেকে কমার্স নিয়ে বি.এ ও আইন পাশ করেন। আইন পাশ করার পর রামনাথ দিল্লী চলে আসেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। পরপর দুইবার ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয় চেষ্টায় উনি সফল হন কিন্তু মনঃপুত না হওয়ায় চাকরি না করে তিনি ওকালতি করা শুরু করেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৩ দীর্ঘ ১৩ বছর উনি দিল্লী কোর্টে ওকালতি করেন। ওকালতির সাথে সাথে রামনাথ তাঁর সমাজসেবামূলক কাজও চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯৭৪ সালের ৩০শে মে উনি সভিতা কোবিন্দের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুটি সন্তান৷ পুত্র প্রশান্ত কুমার ও কন্যা স্বাতী। রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ-র একজন স্বয়ংসেবক ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য হন। ১৯৯৮-২০০২ সময়কালে তিনি বিজেপি দলিত মোর্চার ও সর্বভারতীয় কোলি সমাজের সভাপতি পদে নিযুক্ত থাকেন। তিনি বিজেপির জাতীয় মুখপাত্রও ছিলেন। দেরাপুরে তার পৈত্রিক ভিটেবাড়ি তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ দলকে দান করেন। ১৯৯৪ সালের এপ্রিল মাসে রামনাথ কোবিন্দ রাজ্যসভার এমপি নির্বাচিত হন। মার্চ ২০০৬ পর্যন্ত একনিষ্ঠ ভাবে তিনি দলিত সম্প্রদায়ের জন্য উন্নয়নমূলক কাজে নিযুক্ত ছিলেন। স্বরাষ্ট্র, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, সামাজিক ন্যায় বিচার – প্রভৃতি ক্ষেত্রে তিনি দৃষ্টান্ত মূলক কাজ করেছেন। তিনি লখনউয়ের ড. বি আর আম্বেদকার ইউনিভার্সিটির ও আইআইএম কলকাতার পরিচালন বোর্ডের সদস্য ছিলেন অক্টোবর ২০০২ পর্যন্ত। ৮ই আগস্ট ২০১৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবীসিংহ পাটিল রামনাথ কোবিন্দকে বিহারের রাজ্যপাল নিযুক্ত করেন। ১৬ই আগস্ট ২০১৫ তে পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ইকবাল আহমেদ আনসারী তাঁকে রাজ্যপালের শপথ বাক্য পাঠ করান। ২০শে জুলাই ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বিহারের রাজ্যপালের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তাঁর এই পদত্যাগ স্বীকার করেন। ২৫শে জুলাই ২০১৭ তারিখে উনি ভারতের রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। তাঁর জন্মদিনে এদিন শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই।

Next Post

দুই পরিবারের বিবাদে মৃত্যু এক ব্যক্তির

Sun Oct 3 , 2021
রতুয়া, ৩রা অক্টোবর : একটি গাছের গুড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের বিবাদে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। এঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রতুয়া থানার চাঁদমুনি অঞ্চলের গরাক্ষা গ্রামে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম কাওসার আলী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন […]

আপনার পছন্দের সংবাদ