নিউজ ডেস্ক :কন্যার সুখী সংসারের কামনায় জামাইষষ্ঠী ব্রত পালন করেন মা-বাবারা। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে ষষ্ঠী দেবীর পুজো করা হয়। বিবাহিত মেয়ে এবং জামাইদের আমন্ত্রণ করে খাওয়ানোই এই পাব্বনের অন্যতম বিধি।
জামাইয়ের কপালে মা ষষ্ঠীর ফোঁটা এবং হাতে হলুদ মাখানো সুতো বেঁধে মঙ্গল কামনা করেন শাশুড়ি মায়েরা। এক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়িতে জামাইদের ভিআইপি আপ্যায়নের কোনো খামতি থাকে না। ফলাহার থেকে ষোড়শ ব্যাঞ্জনে পরিপাটি ভুরিভোজে তৃপ্ত হন জামাইবাবাজিরা। কিন্তু বৌমারাই বা বাদ যায় কেন। আধুনিকতার যুগে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিয়ে আমরা সুর চড়াই বটে। কিন্তু অনেক রীতিনীতিতে আজও নারীরা বঞ্চিত। তাই সেই নিয়ম ভেঙে এবারে জামাই ষষ্ঠীর একদিন আগে বৌমাষষ্ঠী পালিত হল শহর রায়গঞ্জে। শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়!
বাজির গুদামে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসলো আগুন
এভাবে চিরাচরিত সেই প্রথা ভেঙেই নতুন নিয়মে প্রান ভরা উৎসবে মাতলেন সকলে রায়গঞ্জ কয়েকজন মহিলা। আর এই নজিরবিহীন উৎসবের সাক্ষী থাকল আরসিটিভি সংবাদ। রায়গঞ্জ শহরের একটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁয় এই বৌমা ষষ্ঠী উৎসব পালিত হল সাড়ম্বরে। জামাইষষ্ঠীর রীতি মেনেই পুজোর পর বৌমাদের কপালে হলুদের টিপ পরিয়ে হাতে হলুদ সুতো বেঁধে দেন শাশুড়ীরা। দিলেন পাখার হাওয়াও। এই মাঙ্গলিক উপাচারের পাশাপাশি স্পেশাল থালির মাধ্যমে চলল ভুরিভোজ। অনুষ্ঠানে বৌমা হিসেবে অংশগ্রহনকারি মৌসুমী দা নামের এক মহিলা বলেন, নারী-পুরুষের সমান অধিকার খাতায় কলমে সীমাবদ্ধ থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়না অনেকক্ষেত্রেই। তাই সেই প্রথা ভেঙে নিজের জন্য বাঁচতে ও অন্যকে ভালে রাখতেই এই মহা আয়োজন আজকের সমাজে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। অরন্যষষ্ঠী ব্রত পালনের মাধ্যমে এদিন সকলের হাতে তুলে দেওয়া হয় গাছও।অন্যদিকে এক শাশুড়ি রানী সেন বলেন, আবহমান কাল ধরে নারীরা সমাজে বঞ্চিত। তাই জামাইদের মঙ্গল কামনার পাশাপাশি মেয়েদের ভালো রাখতে এই বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।