নিউজ ডেস্ক :জামাইষষ্ঠী, বাঙালির এক চিরাচরিত আবেগপূর্ন উৎসব। এই দিনে জামাই আপ্যায়ন এক বিশেষ প্রথা। এই উৎসব ঘিরে ষোলোয়ানা বাঙালিয়ানায় মেতে ওঠেন সকলেই।
পূর্বপুরুষদের সময় থেকেই নস্টালজিয়ায় ভরা এই উৎসব আজকের আধুনিক যুগেও একই রীতিতে পালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রতি ধাবিত হলেও সারাবছর জামাইষষ্ঠী ঘিরে অপেক্ষায় থাকে আপামর বাঙালি। বলা ভালো ভোজনবিলাসী বাঙালির উৎসব মানেই খাই-দাই। আর তা যদি জামাইষষ্ঠীর মত উৎসব হয় তাহলে তো ষোলো কলা পরিপূর্ণ। এই বিশেষ দিনে জামাইদের পাতে ষোড়শ ব্যঞ্জন তুলে দেওয়া হয়। আর সেই ভোজনে পরিতৃপ্ত হন জামাই বাবাজি। তাই এদিন সকাল থেকেই থলে হাতে বাজারে হাজির শ্বশুরবাড়ির কর্তারা। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি একই ছবি শহর রায়গঞ্জেও। মোহনবাটি বাজারে যেন তিল ধারনের জায়গা নেই। থিক থিকে ভিড়ের মধ্যেই চলছে বিকিকিনি। বিশেষ করে মাছ বাজার। ইলিশ নাকি চিংড়ি। কম যায় না রুই, কাতলা ভেটকিও। কিন্তু তাতে কি। দাম যে আকাশ ছোঁয়া। বাজারে আমদানিও কম। ফলে চড়চড়িয়ে বেড়েছে মাছের দাম। সকাল সকাল মাথায় হাত ক্রেতাদের। একনজরে দেখে নিই মাছের দর।
ইলিশ (বড়)ঃ কেজি প্রতি ১৬০০-১৮০০ টাকা
ইলিশ (ছোট)ঃ কেজি প্রতি ১০০০-১২০০
গলদা চিংড়িঃ কেজি প্রতি ১২০০ টাকা
চিতল (নদীর)ঃ কেজি প্রতি ১২০০ টাকা
ট্যাংরাঃ কেজি প্রতি ১০০০ টাকা
কাতল (কেটে) কেজি প্রতি ১০০০ টাকা
বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি কম তার উপর ভুরিভোজের উৎসব। তাই এমন চড়া দাম।কিন্তু কিছু করার নেই। জামাইষষ্ঠী বলে কথা। বছরের একটা দিন জামাই আপ্যায়ন করতেই হবে। তাই অগত্যা বাড়তি কড়ি খসিয়ে চলল কেনাকাটি।সবমিলিয়ে আজ ঝালে, ঝোলে, অম্বলে রসনাতৃপ্তির ষোলোকলায় ভরপুর বাঙালির হেঁশেল।