নিউজ ডেস্ক , রতুয়া ১১ই সেপ্টেম্বর : এবারেও একযোগে ভাঙ্গন শুরু গঙ্গা ও ফুলহার দুই নদীতে। ভাঙ্গনে বিধ্বস্ত নদী পাড় সংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রাম। ইতিমধ্যে অন্যত্র যেতে শুরু করেছেন ভাঙ্গনগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসনিক সাহায্য না পেয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার হুমকি ভাঙন পীড়িতদের। গঙ্গা-ফুলহরের বন্যা ও ভাঙনে বেশ কয়েক বছর ধরেই বিধ্বস্ত রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দাটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা।
প্রতি বছরই একটু একটু করে গ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে দুই নদী৷ একসময় দুই নদীর দূরত্ব ছিল ২৫ কিলোমিটারেরও বেশি৷ বর্তমানে সেই দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে এক থেকে দেড় কিলোমিটারে৷ নদীগর্ভে বাসভবন থেকে শুরু করে তলিয়ে গেছে স্কুলবাড়ি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি চাষের জমি, আমবাগান।সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে গঙ্গারামটোলা, দ্বারকটোলা, রামায়ণপুর ও রুহিমারিতে। ভাঙন শুরু হতেই বহু মানুষ আতঙ্কে এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন।
বিলাইমারির এক বাসিন্দা অসিত মণ্ডল জানান, গঙ্গায় নদীপাড় কাটছে। দিনের পর দিন এলাকার অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠছে। এরকম চলতে থাকলে পুরো এলাকাই একসময় নদীগর্ভে চলে যাবে। কিন্তু ভাঙ্গনগ্রস্তদের সাহায্যে এখনও প্রশাসন এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। তাঁদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দূরে থাক খোঁজ নিতেও আসেননি কেউ। দিনের পর দিন প্রায় না খেয়ে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছে বহু মানুষ।কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
প্রশাসনের কিছু করার থাকলে তা দ্রুত করুক। নয়তো এলাকাবাসীকে বিষ এনে দিক।ভাঙ্গনে অল্প অল্প করে প্রতিদিন মরার থেকে সকলেই একসঙ্গে বিষ খেয়ে মরবে। অন্যদিকে রতুয়া-১ ব্লকের বিডিও সারওয়ার আলী জানান, নদীভাঙ্গনের বিষয়টি জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। তবে আপাতত গৃহহীনদের সেখানকার ফ্লাড সেন্টারে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।