নিউজ ডেস্ক, ২৭ সেপ্টেম্বর : কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। এঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াতে হাসির খোরাক হয়ে উঠেছেন তিনি। রসিকতা করে কেউ কেউ বলছেন যিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোনো নির্বাচনে জিততে পারেননি, সেখানে দলকে কি করে জেতাবেন?
সুতরাং বিজেপি নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে আগামী দিনে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি হবে? তিনি কী করবেন? পরবর্তীতে এনিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই তার সিদ্ধান্তের কথা নিজে জানাবেন বলে জানিয়েছেন রাহুল সিনহা। শনিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নতুন কমিটি গঠন করেছেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এরাজ্য থেকে দু’জন নেতা ওই কেন্দ্রীয় তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এরমধ্যে একজন হলেন মুকুল রায় এবং আরেকজন হচ্ছেন অনুপম হাজরা। মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে অনুপম হাজরা পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদ। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নিজের তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর অভিযোগ চক্রান্ত করে তাঁকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। তবে রাহুল সিনহার এই বিদ্রোহকে কার্যত অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব ভালো চোখে দেখছেন না। কারণ তিনি যদি দলের সেবা করার জন্য রাজনীতি করে থাকেন, সেখানে পদের গুরুত্ব কী তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। একজন সাধারণ কর্মী হয়েও দলের জন্য যেমন সেবা করা যায়, তেমনই দলের শীর্ষ পদে থেকেও দলের সেবা করা যায়। আর এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিজেপির একটা বড় অংশ।
পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাহুল সিনহাকে নিয়ে নানা ব্যঙ্গচিত্র, বিদ্রুপ করা হচ্ছে কারণ তাদের যুক্তি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিজেপির সঙ্গে থাকলেও রাহুল সিনহা নিজে আজ পর্যন্ত কোন আসনে দাঁড়িয়ে জিততে পারেননি। এমনকি তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে আগেও। কারণ তিনি রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন বিজেপি সেই অর্থে রাজ্যে খাতাই খুলতে পারেনি। অন্যদিকে মুকুল রায় বিজেপি তে আসার পর ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলকে কড়া টক্কর দিয়ে ১৮ টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। সামনে আবার বিধানসভা নির্বাচন সেই দিকে তাকিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নতুন যে কমিটি গঠন করেছে সেখানে সহ-সভাপতি হিসেবে মুকুল রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মুকুল রায়কে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে রাহুল সিনহা অসন্তুষ্ট এবং ক্ষুব্ধ তাতে তাঁর মন্তব্যে পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে। এঘটনায় রাহুল সিনহার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। তবে তাঁর ভবিষ্যৎ কি হবে, তিনি কী করবেন আগামী দিনে, তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।