নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ, ১১ অক্টোবর : বাজারে গিয়ে জিনিসের দাম শুনে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় সাধারণ মানুষের৷ শাকসবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস এমনকি ডিমের দামও ঊর্ধ্বমুখী। স্বাভাবিকভাবেই জিনিসের দাম যদি এতই বেশি হয় তাহলে সাধারণ মানুষ খাবে কী? বাজারে জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোথায় সরকারি হস্তক্ষেপ আর কোথায়ই বা টাস্কফোর্স? এনিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ৷
দুটো ডিম ১৪ টাকা! কেজি প্রতি জ্যোতি আলুর দাম ৩৫, আবার চন্দ্রমুখী আলুর দামও ৪০ টাকা। আলুকে টপকে পেঁয়াজ পৌঁছেছে ৬০ টাকা প্রতি কেজি। রবিবার ছুটির দিনে বাজারে এমনই অগ্নিমূল্য জিনিসের দাম। স্বাভাবিকভাবেই এদিন রায়গঞ্জের মোহনবাটি, লাইন বাজার, সুপার মার্কেট, গোশালা সর্বত্রই একই রকমের দাম লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেন জিনিসের দাম এত বেশি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। তাদের বক্তব্য, কৃষকরা বলছেন তারা ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না অথচ বাজারে গেলে জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কেন এই ফারাক তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাদের আরও বক্তব্য, জিনিসের অগ্নিমূল্যর কারণে ফড়ে, দালাল এবং পাইকাররা কৃষকদের লাভ নিজেদের ঘরে তুলে নিচ্ছে। এতে করে কৃষকরা যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন তেমনি অগ্নিমূল্যের কোপে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷
উল্লেখ্য দেশে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে যেহারে জিনিসের দাম বেড়েছিল তা এখন আর কমার নাম নিচ্ছে না। আর এই কারণে বিপাকে পড়েছেন মধ্য ও নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষ,মূলত যারা দিন আনি দিন খায়। তাদের পক্ষে সংসার চালানো কার্যত নাভিশ্বাস অবস্থা। কবে জিনিসের দাম কমবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তাঁরা৷