নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ, ১১ অক্টোবর : রহস্যজনকভাবে গায়ে আগুন লেগে মৃত্যু হল এক গৃহবধুর৷ ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার সোহারই মোড় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই গৃহবধূর নাম সাবিত্রী রায়। তার বাপের বাড়ি রায়গঞ্জ ছত্রপুর এলাকায়। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হত বলে অভিযোগ। তার জেরেই শনিবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়৷ এই ঘটনায় শ্বশুর বাড়ির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মৃত গৃহবধূর বাড়ির লোকজন।
এক গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ হয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো রায়গঞ্জ সোহারই মোড় সংলগ্ন এলাকায়। গৃহবধূর নাম সাবিত্রী রায়। তার স্বামীর নাম রবিন বর্মন। রায়গঞ্জের রুপাহার এলাকার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন তিনি। বছর ছয়েক আগে তাদের বিয়ে হয়। বর্তমানে একটি সন্তানও আছে ওই দম্পতির। শনিবার রাতে ওই গৃহবধূর রহস্যজনকভাবে শরীরে আগুন ধরে যায়। এরপর গুরুতর সংকটজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়৷ কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রবিবার মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মৃত গৃহবধূর মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়। মর্গে দাঁড়িয়ে বাপের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, সাবিত্রীকে সন্ধ্যার সময় ষড়যন্ত্র করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে অথচ ঘটনার তিন ঘণ্টা পর তাদেরকে খবর দেয় মৃত গৃহবধূর স্বামী। ঘটনা ধামাচাপা দিতে সবরকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে বাড়িতে ঘরদোর পরিষ্কার করার পাশাপাশি হাসপাতালেও তাদেরকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। মেয়েকে যদি পুড়িয়ে না মারা হয় তাহলে এত লুকোনোর কি আছে? অবিলম্বে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। তবে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃত গৃহবধূর স্বামী রবীন বর্মন স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ মানতে চায়নি। গোটা ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ।