নিউজ ডেস্ক , ২৮ এপ্রিল : রাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে সপ্তম দফা। অষ্টম দফা অর্থাৎ শেষ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার। সেই ভোট অষ্টমীর আগেই ধাক্কা খেল শাসকদল তৃণমূল।
বিধানসভা নির্বাচন শুরুর আগে এবং নির্ঘন্ট প্রকাশ হওয়ার পরও তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের যে দলত্যাগের পালা শুরু হয়েছিল, তা শেষ দফা ভোটের আগের দিন পর্যন্ত অব্যহত রইল। বুধবার তৃণমূল ছাড়লেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে ই-মেলে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন, সরে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের কোর কমিটি থেকেও। পদত্যাগপত্রের একটি কপি পাঠানো হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে।পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, “আমি তৃণমূলের সবরকম সদস্যপদ, তৃণমূলের সিবিআইয়ের উপদেষ্টা ও কোর কমিটির সদস্যপদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। এছাড়াও যদি আর কোনও পদ থেকে থাকে, সেখান থেকেও আমাকে নিষ্কৃতি দেওয়া হোক।”
প্রসঙ্গত, সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনপর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধেই তৃণমূলে যোগ দেন এই দুদে আইপিএস অফিসার। ২০১১ সালে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক দুলাল বরকে সরিয়ে টিকিট দেওয়া হয় উপেন বিশ্বাস। নির্বাচনে জিতে রাজ্যের অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মন্ত্রী হন। যদিও এরপর ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে দুলাল বর ফের প্রার্থী হলে তাঁর কাছে পরাজিত হন তিনি। তারপর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল এই অফিসারের। দলের কোনও কর্মসূচিতেও আর তাঁকে সেভাবে দেখা যেত না। জানা গেছে, কিছুদিন ধরেই নাগরিক সংশোধনী আইন নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ভিন্ন অবস্থান ছিল তাঁর। সেই বিষয় নিয়েও তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করেননি। লালুপ্রসাদকে পশুখাদ্য মামলায় জেলে পাঠানো উপেন বিশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই দলের অন্দরের খবর। সেই তিনিই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে চিঠি পাঠিয়ে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন, সরে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের কোর কমিটি থেকেও। স্বাভাবিক ভাবেই উপেন বিশ্বাসের দলত্যাগ নিয়ে আলোড়ন পড়েছে ঘাসফুল শিবিরে।