নিজস্ব সংবাদদাতা , হরিশ্চন্দ্রপুর , ১৫ মার্চ : দিনমজুরির কাজ করে কোনমতে চলত সংসার ।যুবা বয়সে চোখে সমস্যা ধরা পড়লেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। ফলে বেঁচে থাকার জন্য ভিক্ষাবৃত্তি একমাত্র সম্বল হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশুয়া দাসের।নেই প্রতিবন্ধী শংসাপত্র,মেলেনা কোনও ভাতাও।
ফলে বাড়িতে পাঁচজনের খরচ নির্বাহ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার স্ত্রীকে।বিশুয়া দাস জানান, অনেক জায়গায় চোখ দেখানো হলেও কিছু ঠিক হয়নি। প্রশাসনের কাছে সাহায্য চেয়েও মেলেনি। এমনকী পঞ্চায়েত প্রধানও কোনো সাহায্যের ব্যবস্থা করেননি। স্ত্রী কাজ করে তাই দিয়েই সংসার চলে। ঘরের জন্য আবেদন করেও ঘর পাইনি। দু-পা হাঁটতে গেলেও ছেলের সাহায্য নিতে হয়।আবাস যোজনার ঘরের জন্য আবেদন করলেও তা পাননি। এমনকী সরকারী সুবিধার পঞ্চায়েত দফতরে আবেদন করলেও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ দুঃস্থ ওই পরিবারটির।তার স্ত্রী কুশমি দাস অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চোখে দেখতে পাননা। এদিক ওদিক খেটে কোনোরকমে সবার মুখের ভাত জোগাড় করেন। লোকের কল থেকে জল আনতে হয়।নেই ঘর, শৌচালয়ও।শুধু রেশনটুকু মেলে। ফলে ভোট দেবেন কিনা তাও ভেবে দেখবেন বলে জানান কুশমি দাস।যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তি কর্মকার জানিয়েছেন, দুয়ারে সরকার প্রকল্পে বারবার যেতে বলা হলেও ওই পরিবারটি যায়নি। আর আবাস যোজনার জন্য ওদের নাম পাঠানো রয়েছে। তবুও তাদের সমস্যা সমাধানে পঞ্চায়েতে দফতরে আবেদন করবেন বলে জানান দীপ্তিদেবী।কিন্তু এত বছরেও কেন তার প্রতিবন্ধী শংসাপত্র হয়নি কিংবা, আবাস যোজনায় ঘর মেলেনি সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ পঞ্চায়েত কর্তারা।