নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ০৭ জানুয়ারী : বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উচ্চ শিক্ষাদপ্তরের কাছ থেকে ইতিবাচক আশ্বাস পেয়ে আঠারো দিনের মাথায় অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেন রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে কর্মরত অতিথি অধ্যাপকেরা। আন্দোলন রত শিক্ষকেরা জানিয়েছেন আগামী তিরিশে জানুয়ারীর মধ্যে দাবীপূরণের আশ্বাস মিলেছে উচ্চ শিক্ষাদপ্তর থেকে। সেকারনেই আপাতত আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।
উল্লেখ্য বর্তমানে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক, পার্ট টাইম শিক্ষকেরা স্টেট এইডেড কলেজ টিচার এর নিয়ম মেনে বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস সহ সব ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের চব্বিশ জন অতিথি শিক্ষক এখনো পর্যন্ত এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রায় সাড়ে তেরো হাজার অতিথি শিক্ষক এই সুবিধা পেলেও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের চব্বিশ জন শিক্ষক এখনো এই নিয়মের আওতাভুক্ত হন নি। পেশাগত দাবীদাওয়া আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই তীব্র ঠান্ডার মধ্যেই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী শুরু করেন তারা। জানা গিয়েছে রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজ থাকাকালীন এগারো জন ও বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর আরো তেরো জন এই পদে যোগ দেন। অন্যান্য শিক্ষকেরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেলেও অতিথি অধ্যাপকেরা এইসব সুযোগ থেকে এখনো বঞ্চিত রয়েছেন। দাবী আদায়ে কলেজ চত্বরেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন অতিথি শিক্ষকেরা। অবস্থান মঞ্চে অসুস্থ ও হয়ে পড়েন চারজন। আন্দোলন রত শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন রায়গঞ্জ পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকার ও রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। শেষপর্যন্ত আন্দোলন রত শিক্ষকদের দাবীদাওয়া নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গঠিত হয় একটি কমিটি। কমিটির সদস্যরা কলকাতায় উচ্চ শিক্ষাদপ্তরে গিয়ে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন আধিকারিকের সাথে। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন,” কমিটির দুই সদস্য শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শিক্ষকদের দাবী মেটানো নিয়ে কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। এরপরেই আন্দোলনরত শিক্ষকদের কাছে আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দেই। সকলকে ধন্যবাদ। ” অন্যদিকে আন্দোলনরত শিক্ষকদে পক্ষে দেবপ্রিয়া ঘোষ বলেন,”উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে ইতিবাচক আশ্বাস মেলায় আঠারো দিনের মাথায় আআন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবীপূরন না হলে আবারো আন্দোলনে নামবো।