নিউজ ডেস্ক, ১১ অক্টোবর : বর্তমানে বিশ্বজুড়েই নারী নিপীড়নের মাত্রা বেড়েছে। নারী স্বাধীনতার দুয়ার অনেকাংশে খুললেও নিরাপত্তার দিক থেকে উদ্বিগ্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে সর্বত্রই। দিনে দিনে নারীদের ওপর যৌন হেনস্তার মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। এমত পরিস্থিতিতে নারীদের সুরক্ষার কথা ভেবে অভিনব এক জুতা আবিস্কার করলেন দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের তিলাবনী গ্রামের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া বছর কুড়ি‘র সৈয়দ মুসারাফ হোসেন।
ব্যান্ডেলের রাজহাটের মডার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোশারফ জানান, এই জুতো মহিলাদের পায়ে থাকলে দুষ্কৃতীদের আক্রমণ ও নিগ্রহের সময় তাঁদের চিৎকার এবং আর্তনাদ পৌঁছে যাবে তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব, এমনকী পুলিশের কাছেও। এই জুতোয় পাঁচটি জরুরি ফোন নম্বর যোগ করা যাবে। মহিলাদের টানা–হেঁচড়ার সময় দুষ্কৃতীরা বারোশো ভোল্টের ইলেকট্রিক শক খাবে এই অভিনব জুতো থেকে। এছাড়াও এই জুতোর উঁচু হিলে ব্যাটারি–সহ জিপিএস, জিএসএম, আরডুইনো, আরএফ ট্রান্সমিটার এবং রিসিভারযুক্ত সেফটি ডিভাইস বসানো রয়েছে। যদি কখনও কোনও দুস্কৃতি কোনো মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তবে এই জুতোর মধ্যে থাকা ডিভাইসের উদ্ধারকারী ঘটনার নির্দিষ্ট স্থল জানতে পারবেন এবং মেসেজ যাবে। এছাড়াও প্রতি ৩০ সেকেন্ড অন্তর এসওএস কল যেতে থাকবে ওই পাঁচটি ফোন নম্বরে। যার দ্বারা মহিলাদের সুরক্ষা অনেকটাই নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদী সৈয়দ মুশাররফ হোসেন।
ইন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি কাম অ্যালার্ট সিস্টেমের এই জুতো তৈরি করতে মুশারফের সময় লেগেছে দু’বছর। অত্যাধুনিক এই জুতোর দাম মাত্র ৮০০ টাকা। মুসারফ এই ডিভাইসটি পেটেন্টের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চান। ইতিমধ্যে এই নতুনত্ব জুতোর জন্যে শোরগোল পরে গিয়েছে গোটা এলাকায়। জেলা প্রশাসনিক স্তরেও এই জুতো নিয়ে সচেতনতা শিবির চালানো হবে বলে জানা গেছে। জুতো সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মোশারফ ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের দপ্তরে।