নিউজ ডেস্ক, চাঁচল, ২৪ সেপ্টেম্বর : আবাস যোজনার প্রকল্পের ঘর নির্মাণের আবেদন পত্রে আধার সংযোজন নিয়ে কারচুপির অভিযোগ উঠলো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও এক পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য চাঁচল ১ ব্লকের কংগ্রেস পরিচালিত মকদমপুর পঞ্চায়েতে।
এই ঘটনায় বুধবার রাতে চাঁচল ১ ব্লকের তথ্যমিত্র কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় তিন হাজার উপভোক্তা আবাস যোজনার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান শাসক দলের নেতাকর্মীদের নামগুলোকে বাদ দিয়ে কংগ্রেসের সংগ্রহ করা নামগুলো শুধু আধার সংযোজন করছেন।বুধবার নাম সংযোজনের শেষ তারিখ এই বিষয়ে কোনরকম নোটিফিকেশন জারি না করেই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও জিআরএস কর্মী রাতের অন্ধকারে এই তথ্য মিত্র কেন্দ্রে আধার সংশোধন নিয়ে কাজ করছিল। তথ্য মিত্র কেন্দ্রটি থেকে বেশকিছু নথিপত্র ও একটি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে চাঁচল থানায় জমা দেয় বিক্ষুব্ধরা।
যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মুস্তাক আলম ও জিআরএস কর্মী চন্দন থোকদার। তারা জানিয়েছেন, যে সকল উপভোক্তারা আবাস যোজনার প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন সকলেরই আধার সংযোজন করা হয়েছে কিন্তু প্রায় ৮০০ জনের নাম এখনো নথিভুক্ত করা হয়নি। বুধবার আধার সংযোজনের শেষদিনে পঞ্চায়েতে ইন্টারনেট পরিষেবা গোলযোগ থাকার কারণে এই তথ্যমিত্র কেন্দ্রের সাহায্য নিয়ে কাজ করা হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে ওই তথ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মির গোলাম মোহাম্মদ আশরাফ জানান, এবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অনৈতিক কাজ হলে পঞ্চায়েত কর্মী চন্দন থোকদারের বিরুদ্ধে ব্লক আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানাবেন তিনি।