নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ১৬ মার্চ : বাড়িতে অতিথির আগমন হোক বা যেকোনো অনুষ্ঠান, মিষ্টিমুখ ছাড়া প্রায় অসম্ভব। তবে সেই মিষ্টিতে যদি “খেলা হবে”, “টুম্পা সোনা” কিংবা “সোনার বাংলা” লেখা থাকে, তবে? একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পারদ এমনিতেই উর্ধ্বমুখী, তার ওপর এই স্লোগান গুলি সুপারহিট।
এবারে এই স্লোগান গুলোকেই অবলম্বন করে মিষ্টির দোকান ভরিয়ে তুলেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ভান্ডার “রসরাজ”।
মিষ্টিতে মজাদার রাজনৈতিক স্লোগান পেয়ে বেজায় খুশী মিষ্টি প্রেমী রায়গঞ্জের বাসিন্দারা। মিষ্টান্ন ভান্ডারের অন্যতম কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গনতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবকে স্বাগত জানাতেই তাদের এই উদ্যোগ।
প্রসঙ্গত, বাঙালীর বারোমাসে তেরো পার্বণ। আর সেই পার্বণ মিষ্টি ছাড়া অসম্পূর্ণ। দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমী হোক কিংবা বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা বা দীপাবলী কিংবা ভাতৃদ্বিতীয়া বা রাখী বন্ধন উৎসব, সবেতেই মিষ্টিতে অভিনবত্বের ছোঁয়া থাকে রায়গঞ্জের এই মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে। আর ভোট তো গনতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব। তাই এই শ্রেষ্ঠ উৎসবকে স্বাগত জানাতে এর আগেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করে মিষ্টি তৈরি করেছেন তাঁরা। এবার বাংলার ভোটে সরগরম হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আকর্ষণীয় বিভিন্ন স্লোগান। তাই রসরাজের মিষ্টিতেও ছোঁয়া রাজনৈতিক স্লোগানের। এখানে পাওয়া যাচ্ছে “খেলা হবে”, “টুম্পা সোনা” এমনকি ” সোনার বাংলা ” স্লোগান দেওয়া সুস্বাদু নানান ধরনের মিষ্টি। মজাদার রাজনৈতিক স্লোগানে ভরা এই মিষ্টি পেয়ে এবং খেয়ে বেজায় খুশী রায়গঞ্জ শহরের বাসিন্দারা। রায়গঞ্জের এই প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ভান্ডারের অন্যতম কর্মকর্তা অরিজিৎ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভোট হল গনতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব, তাকে স্বাগত জানাতে এবং ভোটের আবহে মানুষের কাছে ভিন্নস্বাদের মিষ্টি পৌঁছে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। এই ধরণের মিষ্টি সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।