নিজস্ব সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর , ১২ এপ্রিল : ব্যাঙ্কের পর করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেল স্কুল।
এবার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ল হরিশ্চন্দ্রপুর পিপলা উচ্চ-বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,একজন ক্লার্ক সহ স্কুলের এক শিক্ষকের। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ ছড়িয়েছে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে।বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল।অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুল এবং হরিশ্চন্দ্রপুর কীরণবালা স্কুল চত্বরে দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র। মাস্ক ছাড়াই স্কুলে আসছে পড়ুয়ারা। দেওয়া হচ্ছে চাল ডাল।উল্লেখ্য নির্বাচনকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে শিকেয় উঠেছে করোনা বিধি। সচেতনতা নেই নেতা মন্ত্রীদের মধ্যেও। জমায়েত হচ্ছেন মানুষ। মাস্ক পরতেও দেখা যাচ্ছে না অনেককে। সে কারণেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সুর টেনেই স্কুল পড়ুয়া সোনু সাহা বলে, বড়ো বড়ো নেতা মন্ত্রীরা তো মাস্ক পরছেন না।তাদের দেখেই বাকীরা শিখছে।হরিশ্চন্দ্রপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টা হচ্ছে শুধু স্কুল নয়, সমগ্র রাজ্যেই লাগামছাড়া ভাবে মানুষ ঘোরাফেরা করছে। বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীদের মিটিং মিছিলে কোনো স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই যোগ দিচ্ছে।তার পার্শ্ববর্তী স্কুলে কয়েকজন শিক্ষক মহাশয়ের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। যা পরিস্থিতি দেখছি তাতে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া উচিত হবে বলে অভিমত তার।হরিশ্চন্দ্রপুর চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি ডাবলু রজক বলেন, পিপলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক,করণিক করোনা পজিটিভ। ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছে গোটা এলাকা। নির্বাচনের সময় আরও বেশি ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন যাতে সমস্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করে নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে সম্পন্ন করা হয় বলে জানিয়েছেন ডাবলু রজক।যদিও এই অসচেতনতায় করোনাবৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন এলাকার বিশেষজ্ঞরা ।