নিউজ ডেস্ক , ০১ মার্চ : সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই উত্তাল মায়ানমার। রবিবার সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীদের উপরে চলল গুলি, গ্রেনেড। যার জেরে গোটা দেশে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৮ জনের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। এমনটাই জানাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ হিউম্যান রাইটস অফিস।
ইয়াঙ্গন-সহ দেশের একাধিক শহরে সু কি-র মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল আম আদমিরা। আন্দোলন ঠেকাতে গুলি চালায় পুলিশ, যার ফলে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। রবিবার সকাল থেকেই পুলিশ ছিল মারমুখী। স্টোন গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের পর বন্দুক হাতে নেয় পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেদেশের সেনা। আটক করা হয় নির্বচিত গণতান্ত্রিক নেত্রী সু কি-কে। পাশাপাশি আটক করা হয় দেশের অধিকাংশ নেতাকে। পাঁচ দশক পরে দেশে গণতন্ত্র ফেরার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল তা ভেস্তে দেয় সে দেশের সেনা। এরই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। এরপর থেকেই উত্তপ্ত মায়ানমার। নোবেলজয়ী নেত্রী সু কি-র মুক্তির দাবিতে সেনা নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। আন্দোলনে সেনা পুলিশের কড়া পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘও। ভারতও গণতন্ত্রের পক্ষে মত পোষণ করেছে। তবে আন্দোলন থামছে না সু কি-র দেশে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘মিয়ানমারের বেড়ে চলা সহিংসতার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি৷ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের উপর শক্তি প্রয়োগ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানাই৷’’