নিউজ ডেস্ক, ১১ ফেব্রুয়ারি : মুম্বয়ের একটি হাসপাতালে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে এক পাঁচ বছরের শিশু ৷ জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন দুর্মূল্য একটি ইঞ্জেকশন। যার দাম ১৬ কোটি টাকা ৷ অবশেষে ৬ কোটি টাকা মুকুব করে ওই শিশুর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷
নাম তীরাকামাত। বয়স মাত্র ৫ বছর। আর এই বয়সেই শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম এসএমএ টাইপ ওয়ান। গত ১৩ ই জানুয়ারি তাঁকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা ওই শিশুর পরীক্ষানিরীক্ষা করে তাঁর বাবাকে জানিয়ে দেন দ্রুত চিকিৎসা করা হলে স্বল্প দিনেই মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই নিভে যেতে পারে তীরা কামাতের জীবনের আলো। কিন্তু চিকিৎসা বলতে প্রয়োজন দুর্মূল্য একটি ইঞ্জেকশন। যার দাম ১৬ কোটি টাকা। এই ইঞ্জেকশনও দেশে পাওয়া যায় না৷ আমদানি করতে হবে বিদেশ থেকে। কিন্তু চিকিৎসার খরচ শুনে পায়ের নিচ থেকে জমি সরে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয় ওই শিশুর বাবা মায়ের। ছেলেকে বাঁচাতে অর্থ সংগ্রহের জন্য সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট শুরু করেন বাড়ির লোকজন। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। সহৃদয় বহু মানুষ ওই শিশুর প্রাণ বাঁচানোর জন্য সাধ্যমতো অর্থ দান করেন। প্রায় দশ কোটি উঠলেও বাকি ৬ কোটি কিভাবে জোগাড় হবে তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছিলেন না বাবা মিহির দেসাই৷ অবশেষে বিষয়টি জানতে পেরে ও বিস্তর খোঁজ খবর নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়েণবীস প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। জানা গেছে বিদেশি ওই ইঞ্জেকশনের দাম ১৬ কোটি টাকা হলেও ৬ কোটি টাকা আমদানি শুল্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনা জানতে পেরে দ্রুত ওই ৬ কোটি টাকা মুকুব করে দেন। যাতে ওই ইঞ্জেকশনে প্রাণ বাঁচে শিশুটির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই মানবিক উদ্যোগে কর মুকুব হয়ে যাওয়ায় ওই শিশুটিকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে৷