করণদিঘী, ৮ জুন : দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। ফলে বিপাকে পড়েছে গোটা পরিবার। উওর দিনাজপুর জেলার করণদিঘী ব্লকের আলতাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিগনপুর গ্ৰামের বাসিন্দা দিলীপ ওরাওঁ পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন।
কিন্তু বছরখানেক ক্যান্সার ধরা পড়ে তার। তবে থেকেই বাড়িতে শয্যাশায়ী দিলীপ। সংসারে তার রয়েছে, বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও তিন সন্তান। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে যেখানে খাওয়ার জোটানোই মুশকিল। সেখানে এই দুরারোধ্য ব্যধির চিকিৎসার ব্যয়ভার টানাই দুঃসাধ্য। তবুও তারা তাদের সাধ্যমত রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ি এবং পূর্ণিয়াতে তার চিকিৎসা করিয়েছে। সকলেই দিলীপকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কিন্তু টানাটানির সংসারে চিকিৎসা খরচ কিভাবে উঠে আসবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। এমনকী মেলেনি কোন সরকারি সাহায্য। দিলীপের দাদা শচীন ওরাওঁ বলেন, ভাই প্রায় একবছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। রায়গঞ্জ, ইসলামপুরে ডাক্তার দেখানোর পর অপারেশনও করা হয়। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো দরকার। কিন্তু একবছর ধরে ভাইয়ের কোন কাজ নেই। লকডাউনে আর্থিক পরিস্থিতি টালমাটাল। এমনকি মেলেনি কোন সরকারী সাহায্য। ফলে আগামীতে কি হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ওই পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে প্রতিবেশী আব্দুল জালেক বলেন, পরিবারটি খুবই দুঃস্থ। তারা ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা করাতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে। পাড়ার সবার কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে তাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা হলেও চিকিৎসা খরচ যোগানোই মুশকিল। এই ঘটনায় সরকারের পাশাপাশি সহৃদয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে দিলীপের চিকিৎসার জন্য আর্জি জানিয়েছেন।