নিজস্ব সংবাদদাতা , চাঁচল , ১১ নভেম্বর : মহামারী রুখতে প্রায় ১০০ বছর আগে চাঁচলের কনুয়া গ্রামে পুজো শুরু হয় বাউরী কালিমাতার। এবারও তাই করোনা মহামারী রুখতে বাউরী কালির পুজোয় সামিল হয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। উল্লেখ্য আছে, প্রায় ১০০ বছর আগে এলাকায় মহামারী রুখতে গ্রামের দুই মোড়ল বসন্ত মন্ডল এবং রাজকুমার মন্ডল মায়ের পুজো করবার স্বপ্নাদেশ পায়।
এলাকার জলাশয় থেকে মায়ের কাঠামো কুড়িয়ে পান তারা।এরপর থেকেই শুরু হয় বাউরি মায়ের পুজো।পুজো শুরু হওয়ার পর কমে যায় মহামারী। এই দেবী প্রতিমার বাঁ পা আগে থাকে। তাই একে অনেকে বামা কালীও বলে থাকে। এই দেবীর আরো বিশেষত্ব হল এই দেবী প্রতিমাকে সহজ পথ দিয়ে নয়, নিয়ে আসা হয় দুর্গম এবং অনেকটা জঙ্গলের ঘোরা পথ দিয়ে। বিগত দিনে অনেকেই এই কালীমূর্তিকে মৃৎশিল্পীর বাড়ি থেকে মন্দিরে নিয়ে আসার জন্য সহজ পথ ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনোভাবেই দেবী মূর্তিকে মন্দিরে নিয়ে আসা যায়নি। ফলে এখনো সেই রীতি মেনে নিয়ে আসা হয় দেবীপ্রতিমা।বংশ পরম্পরায় সাড়ে তিন ফিটের কালিমূর্তি বানিয়ে আসছেন মৃৎশিল্পী শম্ভু মালাকার। আর যতদিন না কালী মূর্তি তৈরি হচ্ছে, ততদিন মৃৎশিল্পী ও তার পরিবার নিরামিষ খেয়ে থাকেন।যদিও এবছর করোণা সংক্রমণে পুজোর আড়ম্বর অনেকটাই কাটছাঁট করা হয়েছে। এই পূজোকে ঘিরে হবে না মেলাও বলে জানিয়েছেন কনুয়া বাউরি কালীপূজা কমিটির সম্পাদক মনীন্দ্র নাথ দাস। মায়ের পুজো শেষে করোনা মহামারী দূর হবে বলে আশা ভক্তবৃন্দের।