নিজস্ব সংবাদদাতা , হরিশ্চন্দ্রপুর , ০৪ মার্চ : শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার, কিন্তু উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলার উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা টুলন দাসের।
টুলন দেবীর দুই ছেলে ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে। বাড়িতে রয়েছে স্বামীহীনা মেয়ে ও এক নাতি।অভাবের সংসারে দুই ভাইয়ের আয় থেকেই কোনমতে সংসার চলে। মেলেনা কোনরকম সরকারী ভাতাও। ক্যান্সার আক্রান্ত টুলন দাস বলেন,একমাস আগে জানতে পারি ক্যান্সার হয়েছে। টাকা পয়সা নেই। ছেলেরা আর কত দেবে? তাদেরও সংসার আছে। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই ছেলেরা বাইরে খাটতে যায়। বিধবা ভাতা, আবাস যোজনার ঘর কিছুই পাইনি।
এমনকী চার মাস আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করলেও তা হাতে মেলেনি। নির্বাচনী বিধী লাগু হয়ে যাওয়ায় কবে এই কার্ড মিলবে তা নিয়েও সন্দিহান তারা। ফলে কিভাবে ওই প্রৌঢ়ার চিকিৎসা হবে সেই চিন্তায় দিশেহারা পরিবারের সদস্যরা। ছেলে সুজন দাস বলেন, দাদা ভিন্ রাজ্যেই রয়েছে। দুজনে বাড়ি ফিরলে খাবার জুটবে না। লকডাউনে কাজ ছিল না। মায়ের চিকিত্সা করব সেই সামর্থ্য নেই। যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে মাও বলছে আত্মহত্যা করবে। তার উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও অনির্বান বসু বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া বন্ধ। তবে উনি যাতে চিকিৎসা পান তা প্রশাসনের তরফে দেখা হচ্ছে।