নিউজ ডেস্ক , ২১ ফেব্রুয়ারি : “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…” ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি “মাতৃভাষা দিবস” হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ সাধনা ও সংগ্রামের ইতিহাস।
১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পূর্ববঙ্গের প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা করেন, “উর্দু ভাসাই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।”আর মায়ের ভাষা বাংলাকে কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে পূর্ব বাংলার ছাত্র-জনতা।
এরই প্রতিবাদে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হয়। ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালায়। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। শহীদ হন ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িত অনেক আন্দোলনকারী। এরপর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে ভাষা আন্দোলন।মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মদানের এই অনন্য ঘটনা স্বীকৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও। ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। তারপর থেকেই এই দিনটি পালিত হয় “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” হিসেবে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ভাষা হিসেবে বাংলার এই প্রতিষ্ঠা ও স্বীকৃতি, যে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাংলাভাষী জনগণ একটি দেশ পেয়েছে; সেই সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ সব ভাষাশহীদকে জানাই আমাদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন বাস্তবায়ন করা গেলেই ভাষা শহীদদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে ও বাংলা ভাষার মর্যাদা সমুন্নত হবে।