নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ১২ জানুয়ারী : বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি এখনও৷ অথচ এলাকায় অনুন্নয়নের অভিযোগে আসন্ন বিধানসভা ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিলেন রায়গঞ্জ ব্লকের শেরপুর অঞ্চলের খলসিঘাট এলাকার গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ,কুলিক নদীর ওপর পাকা সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিন জানিয়ে এলেও কাজ হয়নি৷ তার প্রতিবাদে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা৷
স্বাধীনতার পর সাত দশক পেরিয়ে গেলেও রায়গঞ্জ ব্লকের শেরপুর অঞ্চলের খলসি ঘাটে কুলিক নদীর উপর পাকা সেতু তৈরি না হওয়ায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন বয়কটের হুঁশিয়ারি দিলেন গ্রামবাসীরা। পাকা সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন তাঁরা৷ এমনকি মুমূর্ষ রোগীদের নিয়ে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার ঘুরপথ হয়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে হয় গ্রামবাসীদের। ছাত্র-ছাত্রীরাও বর্ষার সময় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে চলাচল করলেও বন্যার সময় কার্যত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খলসি ঘাট থেকে জেলা প্রশাসনিক ভবন সহ জেলার অন্যান্য দফতর ৪ থেকে ৫ কিমির মধ্যে অবস্থিত। তা সত্ত্বেও আজও পাকা সেতু তৈরি হয় নি এখানে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,’ভোটের সময় শাসক-বিরোধী উভয়ই পক্ষই নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নেয়। তারপরে এলাকায় তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না৷ এই পরিস্থিতিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন বয়কট করা হবে বলে হুঁশিায়ারি দিয়েছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা৷ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে বলেন, এই খলসি ঘাট দিয়ে বিন্দোল, জগদীশপুর, শেরপুর অঞ্চলের অন্যান্য প্রান্তে সহজেই চলাচল করেন গ্রামবাসীরা।
দশ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তও। সেজন্য বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেন্ট ফান্ড দিয়ে সেতুটি তৈরির ব্যাপারে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেই মতো কনসাল্ট লেটারও পাঠানো হয় সেখান থেকে৷ সেতু নির্মাণের ব্যাপারে জেলা পরিষদ থেকে মাটিও পরীক্ষা করা হয়েছিল কিন্তু মাঝের হাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ৫০ মিটারের উর্দ্ধে সেতু নির্মাণ করবে পূর্ত দপ্তর৷ এখন পূর্ত দপ্তরকে জেলা পরিষদ থেকে চিঠি পাঠানো হবে কেন সেতু নির্মাণের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না৷ কারণ বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে ৭ থেকে ৮ কোটি বরাদ্দ করেছিল সেতু নির্মাণের ব্যাপারে৷ তবে এই অনুন্নয়ন নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে।